প্রকাশিত:
২৭ আগষ্ট ২০২৩, ০০:২৭
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কাজের চাপ, জীবনের নানা ব্যস্ততা, অনিয়ম আর অবহেলার প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। দীর্ঘ দিনের অনিয়মের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে নানা ক্রনিক অসুখ। আর যে কোনও বয়সে মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে কিডনির রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
কিন্তু আধুনিক জীবনে খাওয়া-দাওয়া অনিয়ম, পড়াশোনার চাপ আর ঠিকমত পানি না খাওয়ার কারণে কিডনির রোগে কাবু হচ্ছে ছোটরাও। তাই কিডনি ভালো রাখতে দরকার ছোট থেকেই সচেতনতা ও শরীরের যত্নের।
ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। ঘরের ছোট সদস্যের কিডনি ভালো রাখতে নিয়মিত কি কি করা প্রয়োজন তা দেয়া হল এখানে,
পর্যাপ্ত পানি পান
শরীরে পানির ঘাটতি হলেই কিন্তু যাবতীয় সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বের করে দিতে পানিই সাহায্য করে। তাই কিডনি যত পানি পাবে, তার শারীরবৃত্তীয় কাজে তত সুবিধা হবে। পানির অভাব হলে কিডনিতে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই ঘরের ছোট সদস্যকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস করাতে হবে।
প্রসাব চেপে না রাখা
কিডনি বিকল হওয়ার অন্যতম কারণ হল প্রস্রাব চেপে রাখা। বিশেষ করে ছোটদের এই অভ্যাস বেশি থাকে। দিনের পর দিন এই অভ্যাস কিন্তু বিপদ ডেকে আনে। এর ফলে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতেই বিকল হয় কিডনি। দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় কিডনিতে সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই শিশুকে প্রসাব আসলে আটকে না রাখতে সচেতন করা উচিত।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার বাদ
শিশুদের অতিরিক্ত চিনি বা লবণযুক্ত খাবার না দেয়াই ভালো। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে তা কিডনির উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ছোটদের প্যাকেটজাত খাবার দেয়া যাবে না। ওই ধরনের খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে, সেটা শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। বাড়ির রান্নায় যতটা লবণ প্রয়োজন, ততটাই ঠিক আছে।
অতিরিক্ত ওষুধ না খাওয়া
সামান্য মাথাব্যথা হোক কিংবা পেটে ব্যথা অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই শিশুকে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ান। অতিরিক্ত বেদনানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ শিশুকে দেয়া একেবারেই উচিত নয়। সূত্র: দেশ রূপান্তর
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: