প্রকাশিত:
১২ আগষ্ট ২০২৩, ০০:১০
নারীর স্বাস্থ্য রক্ষায়, বিশেষ করে সন্তান জন্ম নেওয়ার আগে ও পরে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে গাইনোকোলজিক্যাল ফিজিওথেরাপি। বিশেষ করে গর্ভবতীর ব্যথা ও অবশ ভাব থেকে রক্ষার প্রথম সারির উপকারী এক চিকিৎসা পদ্ধতি বলা হচ্ছে একে, যা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো উন্নত দেশ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও চীনেও চালু রয়েছে।
উপকারিতা
♦ মাংসপেশির শক্তি ও ক্ষমতা বাড়ায়, পেলভিক ফ্লোর মাংসপেশির শক্তি বাড়ায় এবং বিগ অ্যাবডোমেন (বড় পেট) ঠিক রাখে।
♦ মানসিক ও শারীরিকভাবে কর্মক্ষমতা বাড়ায়, মানসিক চাপ কমায়।
♦ সন্তান প্রসবের পর ওজন ঠিক রাখে।
♦ শারীরিক ব্যায়ামের ক্ষমতা এবং ফিজিক্যাল ফিটনেস বাড়ায়।
♦ সেলাইয়ের স্থানে টান টান ভাব কমায়, প্রসব-পরবর্তী পেটের চর্বি কমায়, মাংসপেশি সংকুচিত করে।
♦ গর্ভকালীন ও প্রসবকালে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার সমাধান করে।
যাঁদের জন্য প্রযোজ্য
♦ যেসব গর্ভবতী নারীর কোমর, ঘাড় ও পায়ে ব্যথা।
♦ সন্তান হওয়ার আগে ও পরে প্রস্রাব-পায়খানা ধরে রাখতে পারেন না যাঁরা। হাঁচি-কাশির সঙ্গে প্রস্রাব বের হয় যাঁদের।
♦ চল্লিশোর্ধ্ব বয়স্ক নারী, যাঁদের পেলভিক ফ্লোর মাংসপেশির শক্তি কমে যায় এবং যাঁরা জন্মপূর্ব ও জন্মোত্তর সমস্যায় ভুগে থাকেন।
♦ যাঁদের রয়েছে সায়াটিকা, মেরুদণ্ডের ব্যথা, হাড় ক্ষয় ও বেড়ে যাওয়ার সমস্যা।
♦ জরায়ু, পায়খানার রাস্তায় যেকোনো সার্জারির পরবর্তী সমস্যা, হিস্টেকটমি, ব্রেস্ট সার্জারি ইত্যাদি।
♦ সিজারিয়ান অপারেশনের পর সেলাইয়ের জায়গায় টান অনুভব, প্রসবের আগে ও পরে পা ফুলে যাওয়া প্রভৃতি। কালেরকণ্ঠ
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: