এবার থাইল্যান্ডে ম্যাকবুক উৎপাদনের লক্ষ্য অ্যাপলের

সংগৃহীত

এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন মূলত সেইসব সরবরাহক, যাদের থাইল্যান্ডে অন্যান্য ক্লায়েন্তের জন্য উৎপাদন কারখানা আছে।

কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতা চীনের বাইরে বিস্তৃত করতে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে থাইল্যান্ডে ম্যাকবুক তৈরির জন্য বিভিন্ন সরবরাহকের সঙ্গে আলোচনা করছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল।

এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন মূলত সেইসব সরবরাহক, যাদের থাইল্যান্ডে অন্যান্য ক্লায়েন্টের জন্য উৎপাদন কারখানা আছে। আর ম্যাকবুকের জন্য বিভিন্ন উপাদান ও মডিউলের সম্ভাব্য সমন্বয় ও উৎপাদন নিয়ে এই আলোচনার কথা অ্যাপলের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিন সরবররাহকের এক সূত্রের কথা উল্লেখ করেছে টোকিওভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিক্কেই।

এর পাশাপাশি, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে ‘অ্যাপল ওয়াচ’-এর গণউৎপাদনের বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।

এই প্রসঙ্গে রয়টার্স অ্যাপলের মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি। আর ওই প্রতিবেদনে উদ্ধৃতি দেওয়া তিন সরবরাহককেও তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করতে পারেনি রয়টার্স।

কোভিড লকডাউনের কারণে গত বছর ফক্সকন পরিচালিত আইফোনের সবচেয়ে বড় কারখানার কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় ধীরে ধীরে চীন থেকে নিজেদের উৎপাদন গুটিয়ে নিচ্ছে অ্যাপল ও এর মূল সরবরাহকরা।

পাশাপাশি, অ্যাপল নিজেদের ব্যবসায় বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান উত্তেজনার সম্ভাব্য প্রভাব এড়ানোর চেষ্টা করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

আলাদাভাবে, বৃহস্পতিবার মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে উঠে আসে, ভারতে নিজেদের আইফোন উৎপাদনের মাত্রা তিনগুণ বাড়িয়েছে অ্যাপল। গত অর্থ বছরে দেশটি থেকে সাতশ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের স্মার্টফোন উৎপাদিত হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিকভাবে এখন আইফোনের সাত শতাংশই ভারতে উৎপাদন করছে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট, যা ২০২১ সালেও ছিল কেবল এক শতাংশ।

ভারতে নিজেদের উৎপাদন সম্পর্কে রয়টার্স অ্যাপলের মন্তব্য জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিক জবাব পাওয়া যায়নি।

মার্চে চীনের বাইরে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনার ঘোষণা দেয় ফক্সকন। এদিকে, চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে ফেলার লক্ষ্যে তাইওয়ান ভিত্তিক কোম্পানি ‘পেগাট্রন’ও ভারতে নিজেদের দ্বিতীয় কারখানা চালুর বিষয়ে আলোচনার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top