[email protected] শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

১৬৪ রানেই শেষ বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক

প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০১:২৬

সংগৃহিত

শুরু থেকেই ব্যাটারদের একের পর এক ভুল। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও একাই লড়াই করে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ১২২ বল খেলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেই থামতে হয়েছে তাকে।

শেষ পর্যন্ত ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানেই সবকটি উইকেট হারিয়েছে শিরোপার লক্ষ্যে এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়া টিম বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে লঙ্কান বাঁধা পার হতে এই রানের মধ্যেই আটকাতে হবে তাদের। যা বাংলাদেশের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাহিশ থিকশানার মিডল স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি ভুল লাইনে খেলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানজিদ। দুই বল খেলে 'ডাক' সঙ্গে নিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর সামনে এগিয়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন নাঈম। তবে সেই শটে ছিল না নিয়ন্ত্রণ, নিশাঙ্কার তালুবন্দি হয়ে মাত্র ১৬ রানেই বিদায় হন টাইগার ওপেনার।

দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ে সাকিবের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও থিতু হতে পারেননি উইকেটে। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে পাথিরানার বলে আলগা খোচাতে উইকেট হারান সাকিব। কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে সাকিব ফিরেছেন ১১ বলে ৫ রান করে।

৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে টেনে তুলছিলেন নাজমুল শান্ত-হৃদয়। তাদের ব্যাটে বড় স্কোরের আশা দেখছিল বাংলাদেশ। তবে দলীয় ৯৫ রানে হৃদয়ের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।  চতুর্থ উইকেটে দুজন ৫৯ রান তুলেছেন। হৃদয় ফিরেছেন ২০ রানে। এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তোলেন শান্ত।

শান্তকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিকও। পাথিরানার বলে ১২ রানে জীবন পেয়েছিলেন। এক রান করতেই সেই পাথিরানার ফাঁদেই পা দিলেন দলের ডিপেন্ডেবল এই ব্যাটার। শর্ট লেংথের বলে থার্ড ম্যানে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে ১৩ রান করেন মুশফিক। তার বিদায়ে ভাঙে শান্তর সঙ্গে গড়া ৫৩ বলে ৩২ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।

মুশফিক বিদায় নিলে শান্তর সঙ্গী হয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু অদ্ভুতুড়ে রান আউটে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে টাইগার এই অলরাউন্ডারকে। কাসুন রাজিথার বলে লেগ সাইডে খেলেছিলেন মিরাজ, সিঙ্গেল নিতে শুরু থেকেই দৌড় দেন শান্ত। তবে মিরাজ তাতেখুব একটা আগ্রহী ছিলেন না, কয়েক ধাপ এগোলেও নিজের প্রান্তেই থাকেন তিনি। ফলে দুই ব্যাটসম্যানই দাঁড়িয়ে থাকেন এক প্রান্তে। যেহেতু নাজমুল মিরাজের আগেই ঢুকে গেছেন ক্রিজে, তাই বেঁচে যান তিনি। মিরাজের বিদায়ে বাংলাদেশ হারায় ষষ্ঠ উইকেট।

এরপরের ৪ উইকেট বাংলাদেশ হারিয়েছে মাত্র দুই রানে। মাহেদী হাসানের পর একে একে ড্রেসিংরুমে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১১ রান দূরে থেকে আউট হন শান্ত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ১২২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে শান্ত দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি মিস করার আক্ষেপ নিশ্চয়ই থাকবে তার।

 

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর