প্রকাশিত:
২৩ আগষ্ট ২০২৩, ১৯:৪৫
মরণ পণ করে নেমেছিল আবাহনী। সল্ট লেক স্টেডিয়ামে মোহনবাগানকে থামিয়ে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে খেলতে চেয়েছিল তারা। সেখানে শুরুতে লিড নিয়ে আকাশি-নীল সমর্থকদের আশাবাদীও করে তুলেছিল মারিও লেমোসের দল। কিন্তু লিডটা বিরতি পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি আবাহনী।
আর দ্বিতীয়ার্ধে সেই পুরনো গল্প। কলকাতার জায়ান্টদের চাপের মুখে খেই হারানো। ৫৭ ও ৬০ মিনিটে দ্রুত দুই গোল হজম করে ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে আবাহনী। শেষ পর্যন্ত হার ১-৩ গোলে।
১৭ মিনিটে স্টুয়ার্ট কর্নেলিয়াস এগিয়ে দিয়েছিলেন আবাহনীকে। মুজাফফরভের কর্নারে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এমেকার শট হাতে জমাতে পারেননি বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। কর্নেলিয়াস সেই ভুলের অপেক্ষাতেই ছিলেন, সামনে দাঁড়িয়ে পায়ের টোকায় বল জালে জড়িয়ে দিয়েছেন। গোল পেয়ে আবাহনী স্বাভাবিকভাবেই সেই লিড ধরে রাখতে মরিয়া হয়।
মোহনবাগান চাপ বাড়ালেও সংঘবদ্ধভাবে তা সামলে নিয়ে প্রতি-আক্রমণে ওপরেও উঠছিল। সল্ট লেকে একটা সময় স্বাগতিকদেরই বরং হতাশ মনে হচ্ছিল। কিন্তু ভুলটা করে বসেন সুশান্ত ত্রিপুরা। ৩৫ মিনিটে বক্সের ভেতর লিস্টন কোলাসোর কাছ থেকে বলের দখল নিতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। লিস্টন পড়ে গেলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি।
সেখান থেকে দলকে সমতায় ফেরাতে ভুল করেননি এই মৌসুমেই মোহনবাগানে যোগ দেওয়া অস্ট্রেলিয়ান জেসন কামিংস। বিরতিতে তাই স্কোরলাইন ১-১।
বিরতির পরই ওলটপালট হয়ে যায় ম্যাচটা। এবার আত্মঘাতী গোল মিলাদ শেখের। বক্সের ভেতর খুবই তৎপর ছিল বাগান ফরোয়ার্ডরা। লিস্টনের কাছ থেকে বক্সের মুখে বল পান কামিংস, তিনি থ্রু বল বাড়ান হুগো বুমোকে। বুমো ক্রস করেছিলেন দূরের পোস্টে দাঁড়ানো আর্মান্দো সাদিকোকে। মাঝখান থেকে সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়েই শহীদুল আলমের অসহায় চোখের সামনে দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিয়েছেন আবাহনীর ইরানি ডিফেন্ডার মিলাদ।
লেমোসের দল সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরো এক গোল হজম করে বসে দুই মিনিটের ব্যবধানে। এবার বল জালে পাঠান বাগানের আলবেনিয়ান ফরোয়ার্ড সাদিকো। শর্ট কর্নার থেকে বল নিয়ে লিস্টন বুদ্ধিদীপ্ত ক্রস করেছিলেন, সাদিকু তাতে পা ছুঁইয়ে দিয়ে করেন ৩-১। সূত্র: কালের কণ্ঠ
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: