প্রকাশিত:
২৩ আগষ্ট ২০২৩, ০৩:৫৭
এশিয়ার ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ভারতের পরেই পাকিস্তানের অবস্থান। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে আইসিসি বিশ্বকাপ, ২০০০ ও ২০১২ সালের এশিয়া কাপ জিতে পাকিস্তান।
২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১৭ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নেয় সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।
আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়া বাকি সব টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। এতগুলো শিরোপা জয় করে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
অথচ এশিয়ার এই ক্রিকেট পরাশক্তি দলটি আফগানিস্তানের মতো উঠতি দলের বিপক্ষেই নাজেহাল অবস্থায় পড়েছে। এশিয়া কাপের এবারের আসরের আয়োজক পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের ১৬তম আসর শুরু হতে আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি।
এশিয়া কাপের সপ্তাহ খানেক আগে আফগানিস্তানের মতো উঠতি দলের বিপক্ষে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।
মঙ্গলবার শ্রীলংকার হাম্বানটোটায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।
আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ বলেই ফজলহক ফারুকির গতির শিকারে পরিনত হন ফখর জামান।
ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে মুজিব উর রহমানের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হন অধিনায়ক বাবর আজম। ৭ রানে দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর ইনিংস মেরামত করার আগেই দলীয় ৪০ রানে মুজিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হয়ে ফেরেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
১৬.৩ ওভারে দলীয় ৬২ রানে রশিদ খানের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হন আগা সালমান। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে দলের হাল ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ওপেনার ইমাম-উল-হক।
তিনি ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৬তম ওভারের শেষ বলে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। তার আগে ৯৪ বল খেলে দুটি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন সহ-অধিনায়ক শাদাব খানও। তিনি লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই করে যান। তার কারণেই দলীয় স্কোর দুইশো পার করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।
দলীয় ১৯৮ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন শাদাব খান। তার আগে ৫০ বলে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে দলের হয়ে করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান। ৪১ বলে ৩০ রান করেন ইফতেখার আহমেদ। এছাড়া ২১ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২৭ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেন পেস বোলার নাসিম শাহ।
ইমাম-উল-হকের ৬১ এবং শাদাব খানের ৩৯ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৭.১ ওভারে ২০১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: