[email protected] শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কিউইদের ‘বিদায়ঘণ্টা’ বাজিয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৩ জুন ২০২৪, ১৪:১৫

ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপ শুরু আগে ফেভারিটের তালিকায় ছিল নিউজিল্যান্ড। এবারের আসরেও অনেকেই শেষ চারে রেখেছিল কিউইদের।বিশ্বকাপের সি গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ড সুপার এইটের রেসে ছিটকে যাবে এমনটা কেউ হয়ত ভাবতেও পারেনি। ২০২১ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের সেমিফাইনালেও দেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু টানা দুই হারে নিউজিল্যান্ডের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। কিউইরা সেমিফাইনালে যেতে পারে, তবে সেজন্য মেলাতে হবে অবিশ্বাস্য সব সমীকরণ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৩ রানের হারে কিউইদের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত। নিউজিল্যান্ডের সুপার এইটে যেতে আফগানিস্তানকে বাকি দুই ম্যাচেই হারতে হবে। যেখানে এক প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি। কখনো বিশ্বকাপে জয় না পাওয়া দলটি আফগানদের হারাবে– এমনটা প্রায় অসম্ভবই বটে। সবমিলিয়ে উইন্ডিজের কাছে হারে বিদায় নিশ্চিত। আর ৬ পয়েন্ট নিশ্চিত করে সুপার এইটে নাম লিখিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আজকের ম্যাচের পর ৬ পয়েন্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের। গ্রুপের বাকি দলগুলোর মাঝে আফগানিস্তান ব্যতীত আর কারোরই ৬ পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব না। তাই বৃহস্পতিবারের ১৩ রানের জয়ে সি গ্রুপ থেকে প্রথম সুপার এইট নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪৯ রানের টার্গেট। এবারের বিশ্বকাপের সাপেক্ষে যেটাকে বেশ চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহই বলা চলে। ব্যাট করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয় দেখতে হলো নিউজিল্যান্ডকে। মাস্ট উইন ম্যাচেও দলীয় রান ১০০ পেরুবার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। তবুও স্বপ্নটা বেঁচে ছিল গ্লেন ফিলিপসের কল্যাণে। কিন্তু আলজারি জোসেফের বলেই ফিরতে হয় তাকে। সেখানেই শেষ হয় কিউইদের আশা।

নিউজিল্যান্ডের বিপর্যয়ের শুরুটা হয় ডেভন কনওয়ের উইকেট দিয়ে। আকিল হোসেইনের বলে রস্টন চেজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফিন অ্যালেন খেলছিলেন ব্যাটে-বলে তাল মিলিয়ে। ইনিংস দ্রুতগতির করতে চেয়েছিলেন। তখনই আলজারি জোসেফের দিনের প্রথম শিকার এই ওপেনার। ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন। রাচিন রবীন্দ্রও আশা জাগাতে পারেননি। ১৩ বলে ১০ করে ফেরেন তিনি। এর আগে ২ বলে ১ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কেন উইলিয়ামসন।

গত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ড্যারিল মিচেল হতাশ করেছেন এদিন। ১৩ বলে ১২ রান করে গুড়াকেশ মোতির বলে বোল্ড হন তিনি। জিমি নিশাম এবং গ্লেন ফিলিপস খানিকটা আশা দেখিয়েছিলেন বড় কিছু করার। নিশাম ১০ রানে আউট হলে একা হয়ে পড়েন গ্লেন ফিলিপস। মিডলঅর্ডারের এই ব্যাটার ৩ চার আর ২ ছক্কায় করেছেন ৪০ রান। শেষ ওভারে মিচেল স্যান্টনার তিন ছক্কা হাঁকিয়েছেন বটে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ১৩৬ রানেই থামে তাদের ইনিংস। ১৩ রানের এই হারে বিশ্বকাপের যাত্রাও প্রায় শেষের দিকে।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানে ৫ উইকেট আর ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর শেষ দুই ওভারে শেরফেইন রাদারফোর্ডের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। ড্যারিল মিচেলের ১৯তম ওভারে এলো ১৯ রান। সেই ওভারে ছিল তিনটি ছক্কার মার। এরপরই বিশতম ওভারে নিয়ে আসা হলো স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। সেই ওভারে এলো আরও ১৮ রান। ৩৭ রানের দুই ওভারেই উইন্ডিজের স্কোর গিয়েছে ১৪৯ পর্যন্ত। রাদারফোর্ড ৩৯ বলে করলেন ৬৮ রান। আর তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর