প্রকাশিত:
৪ জুন ২০২৪, ১৪:৩৫
একপেশে এক জয় দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে আফগানিস্তান। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই তাদের ওপর আছে বিশ্ব ক্রিকেটের আলাদা নজর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটার ব্রায়ান লারা তো আফগানদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেই দেখছিলেন। সেই প্রত্যাশার খানিকটা আভাস যেন মঙ্গলবার ভোরে দিয়ে রেখেছে আফগানিস্তান। নবাগত উগান্ডার বিপক্ষে ১২৫ রানের বিশাল জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে তারা।
ইব্রাহিম জাদরান আর রহমানউল্লাহ গুরবাজের রেকর্ডগড়া ওপেনিং জুটি, ফজলহক ফারুকীর দুর্দান্ত ফাইফার আফগানিস্তানকে এনে দিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেকর্ডের এক জয়। এই এক ম্যাচেই বিশ্বকাপ ইতিহাসে দেখা গেল বেশ কিছু রেকর্ড। এক নজরে দেখে নেয়া যাক সেসব রেকর্ডের দিকে
ইব্রাহিম জাদরান এবং রহমানউল্লাহ উদ্বোধনী গুরবাজের জুটি। এটি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। এর আগে বিশ্বকাপে উদ্বোধনী জুটিতে কখনোই ১০০ রানই দেখেনি আফগানিস্তান। এমনকি টি-টোয়েন্টিতেই কেবল দ্বিতীয়বার আফগানিস্তান শতরান পার করেছে। এর ওপরে আছে ২০১৯ সালে দেরাদুনে হযরতউল্লাহ জাজাই এবং উসমান গণির ২৩৬ রানের জুটি।
বিশ্বকাপে পাওয়ারপ্লেতে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৬৪ রান। সেই রান তারা করেছিল ২০১৬ বিশ্বকাপে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসে সেটি। আজ টপকে গেল ৮ বছর আগের সেই সংগ্রহ।
উগান্ডার রিয়াজাত আলী শাহের স্ট্রাইকরেট। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ৩৪ বলে ১১ রান করেছেন তিনি। এটি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ধীরগতির ইনিংস। পেছনে ফেলেছেন ভারতের বিপক্ষে ডোয়াইন স্মিথের ৩৭.৯৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসকে। তিনে আছে ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের অলক কাপালির ৪০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি।
উগান্ডার আজকের সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা চতুর্থ সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় প্রথম দুইবারই নাম আছে নেদারল্যান্ডসের। ২০১৪ সালে ডাচরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিল ৩৯ রান। ২০২১ সালে এসে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তারা করে ৪৪ রান। তিনে আছে ২০২১ বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫৫ রানের সংগ্রহ।
ফজলহক ফারুকির বোলিং ফিগার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা চতুর্থ। ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় সবার ওপরে লংকান মিস্ট্রি স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস। ২০১২ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন তিনি। ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন রঙ্গনা হেরাথ। ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রান ৫ উইকেট পেয়েছিলেন পাকিস্তানের উমর গুল।
টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের হয়ে ২য় বোলার হিসেবে ৫ উইকেট পেলেন ফারুকি। এর আগে ২০২১ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন মুজিব উর রহমান। একইসঙ্গে তার আজকের ৯ রানে ৫ উইকেট বিশ্বকাপে পেসারদের মধ্যে ২য় সেরা। তার ওপরে আছেন পাকিস্তানের উমর গুল।
আফগানিস্তানের জয়ের ব্যবধান। এটিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চতুর্থ সর্বোচ্চ জয়ের ব্যবধান। সর্বোচ্চ ১৭২ রানের জয় শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে এই জয় পেয়েছিল তারা। ১৩০ রানে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুইবারেই প্রতিপক্ষ ছিল স্কটল্যান্ড। এই তিন জয়ের পরেই আছে আফগানদের আজকের জয়।
মন্তব্য করুন: