প্রতিকূল কন্ডিশনেও সফল ফিজ, যা বলছেন চেন্নাই কোচ

চলতি আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে তাকে দেওয়া বিসিবির অনাপত্তিপত্রের (এনওসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ (বুধবার)। ফলে আগামীকাল তাকে দেশে ফিরতে হবে। নিজের শেষ ম্যাচে নামার আগে এই বাঁ-হাতি পেসার চেন্নাই সুপার কিংসের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের সবশেষ ম্যাচে জোড়া উইকেট শিকার করেছেন ফিজ। সেটাও ম্যাচের একেবারে শেষে গিয়ে। ১৯তম ওভারে শাহবাজ আহমেদ এবং জয়দেব উনাদকাটের উইকেট নিয়ে আবারও শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে উঠেছেন আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি। ৮ ম্যাচ শেষে তার ঝুলিতে এখন ১৪ উইকেট। যা জাসপ্রীত বুমরাহ ও হার্শাল প্যাটেলের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।

তবে মুস্তাফিজের জন্য ওই ম্যাচটিতে বল করাটা সহজ ছিল না। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে ছিল শিশিরের প্রভাব। যেভাবে বল গ্রিপ করাতে চেয়েছিলেন বোলাররা, সেভাবে ফেলতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে ডেথ ওভারসহ সবমিলিয়ে ফিজের বোলিংয়ে মুগ্ধ চেন্নাই কোচ ফ্লেমিং। সে কারণে আজকের ম্যাচে নামার আগে তিনি বাংলাদেশি পেসারকে নিয়ে প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে জাতীয় দলের ব্যস্ততায় তাকে ছাড়তে হচ্ছে, সেই বাস্তবতাও মেনে নিয়েছেন সাবেক এই নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।

টাইগার পেসারকে নিয়ে ফ্লেমিং বলেন, ‘এমন কন্ডিশনেও মুস্তাফিজ অসাধারণ করেছে, যদিও এই পরিস্থিতি তার বোলিংয়ের সঙ্গে খাপ খাচ্ছিল না। এ উইকেটগুলোতে প্রচুর পেস থাকে এবং শিশিরও জমে যায়। তবুও এমন অবস্থায় তার মানিয়ে নেওয়াটা ছিল দুর্দান্ত। আমরা বুঝতে পারছি যে আন্তর্জাতিক দায়িত্বটা সবার আগে। সে আমাদের দলের জন্য দারুণ একটি সংযুক্তি ছিল।’

আজ ঘরের মাঠ চিপকের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে রাত ৮টায় পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হবে চেন্নাই। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচের একাদশেও মুস্তাফিজের থাকাটা অনেকটাই নিশ্চিত। শুরুর মতো নিজের শেষটাও তিনি দারুণ পারফরম্যান্স দিয়ে শেষ করতে চান। দলের জন্যও জয়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচে বড় ব্যবধানে জেতায় চেন্নাই পয়েন্ট টেবিলের তিনে ওঠে এসেছিল। কিন্তু গতকাল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে সেই স্থান দখলে নিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এখন পর্যন্ত চলতি আইপিএলে ৯ ম্যাচের পাঁচটিতে জিতেছে চেন্নাই। তাদের পরের অবস্থানে থাকা হায়দরবাদ এবং দিল্লিও জিতেছে সমান সংখ্যক ম্যাচ। ফলে শীর্ষ চার থেকে ছিটকে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে রুতুরাজ গায়কোয়াড়দের সামনে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। আইপিএলের প্লে-অফ খেলতে হলে যে তাদের সেরা চারে থাকতেই হবে।