প্রকাশিত:
১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১১:৪০
দুই বছর আগেও ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন সেবস্টিয়ান হালার। জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড খুব বড় আশা নিয়ে তাকে দলে টেনেছিল। প্রতিভাও ছিল তার। তবে ক্যান্সারের কারণে থমকে যায় সব। ক্যান্সার থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি। ফেরার পর প্রথম ম্যাচে গোলও পেয়েছেন। এবার সেবাস্টিয়ান হালার হয়ত পেয়ে গেলেন নিজের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
নিজ দেশ আইভরি কোস্টকে এনে দিলেন মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব। আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সে এবার শুরু থেকেই দেখা গিয়েছে একের পর এক রোমাঞ্চকর ম্যাচ। ব্যতিক্রম হয়নি ফাইনালের মঞ্চে এসেও। প্রথম গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও ঠিকই দুর্দান্ত কামব্যাকে জয় নিয়ে এসেছে আইভরিকোস্ট। সেবাস্টিয়ান হালারের ৮১ মিনিটের দারুণ এক গোলে নিশ্চিত হয় তাদের তৃতীয় মহাদেশীয় শিরোপা।
আইভরিকোস্ট ২ - ১ নাইজেরিয়া
স্বাগতিক আইভরিকোস্টের এবারের শিরোপা জয়কে রোলারকোস্টার রাইড বললেও কম হয় না। গ্রুপের দুই ম্যাচে তারা হেরে যায় নাইজেরিয়া এবং ইকুয়াটোরিয়াল গিনির কাছে। এরপর ব্যর্থতার দায়ে কোচকে ছাঁটাই করলে শুরু হয় নতুন অশান্তি। এরপরেও তৃতীয় সেরা দলগুলোর একটি হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে তারা। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নকআউটে ওঠা দলটিই এরপর সেনেগাল, মালি এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্রকে ঘরে পাঠায়। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া। যাদের কাছে হারতে হয়েছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে। তবে সেবার হারলেও, এবার আর নিজ দেশের দর্শকদের মন ভাঙতে দেয়নি তারা।
ফাইনালে দাপুটে শুরুই করে আইভরি কোস্ট। প্রথমার্ধেই তারা ৯ শট নেয় নাইজেরিয়ার গোলমুখে। তবে এর মাঝে লক্ষ্যে ছিল তিনটি। তবে এসব থেকে গোল আদায় করতে পারেনি আইভরিকোস্ট। তবে সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও গোল আদায় করেছে নাইজেরিয়াই। সেট পিস থেকে পাওয়া বলে গোল করেন নাইজেরিয়ার উইলিয়াম ট্রোস্ট-একং। পুরোপুরি আনমার্কড ছিলেন তিনি। লাফিয়ে ওঠে হেডে বল জালে জড়ালে দুর্দশা বাড়ে আইভরিকোস্টের।
বিরতির পরও নতুন উদ্যমে ম্যাচ শুরু করেছিল আইভরিকোস্ট। ফলাফল হিসেবে ৬২ মিনিটে ঠিকই কাঙ্ক্ষিত গোলটি পেয়ে যায় তারা। কর্নার থেকে বল পেয়ে গোল করেন ফ্রাঙ্ক কেসি। বল রিসিভ করতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন নাইজেরিয়া গোলরক্ষক। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি কেসি। খেলায় আসে সমতা। এই গোলের পরেই মানসিকভাবে অনেকটা যাই স্বাগতিকরা। নাইজেরিয়া এসময় খুব বেশি সুবিধা করতে পারছিল না। জয়সূচল গোল আসে ৮১ মিনিটে। বামপ্রান্তের মাপা ক্রস থেকে দারুণ এক গোল করেন হলার। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে আর সমতায় ফেরা হয়নি নাইজেরিয়ার। স্বাগতিক আইভরিকোস্ট জিতে নেয় নিজেদের তৃতীয় মহাদেশীয় শিরোপা।
মন্তব্য করুন: