[email protected] মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হাথুরুর ‘আসল কাজ’ কি শুরু হয়েছে?

খেলাধুলা ডেস্ক

প্রকাশিত:
৫ ডিসেম্বার ২০২৩, ১৭:৩২

ফাইল ছবি

‘ঘুম থেকে উঠুন’ বিশ্বকাপের আগে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে টুর্নামেন্ট নিয়ে বড় স্বপ্ন প্রসঙ্গে বলেছিলেন এমন। পরে অবশ্য আবার তিনি এর ব্যাখ্যায় বলেছিলেন ক্রিকেটারদের ‘চাপমুক্ত’ রাখার জন্য।

শেষে অবশ্য স্বপ্ন ভেঙেছে বিশ্বকাপে। বড় কিছু ছোঁয়ার কাছাকাছিও যেতে পারেনি।

বিমর্ষ, বিষণ্ন বিশ্বকাপ কেটেছে সবার। ৯ ম্যাচের স্রেফ দুটিতে জিততে পারে বাংলাদেশ। সমর্থকদের মধ্যেও আসে হতাশা। বিশেষত বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে ছিল ছন্নছাড়াভাব। সত্যি হয় বিশ্বকাপের আগেই করা হাথুরুসিংহের শঙ্কা।

বিশ্বকাপের মাস পাঁচেক আগে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন তিনি। ২০১৭ সালে ছেড়ে যাওয়ার পর আবার তার ওপর আস্থা রাখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপের আগে পর্যাপ্ত সময় পাননি বলে দাবি করেছেন হাথুরু। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে একটি প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

তখন হাথুরুসিংহে দাবি করেন, ‘আসল কাজ শুরু হবে বিশ্বকাপের পর’। এখন অবধি এরপর একটি ম্যাচই খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে দারুণ কিছুই অর্জন করতে পেরেছে তারা। সিলেটে নিউজিল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়ে দিয়েছে। বুধবার মিরপুরে শুরু হওয়া টেস্টে আছে সিরিজ জেতার হাতছানিও।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন হাথুরু। তখন তার কাছে প্রশ্ন ছিল, সিলেটের টেস্টটি কি আপনার ‘আসল কাজের’ একটা নিদর্শন? কতদিন লাগবে আপনার চাওয়ার জায়গায় দলকে নিয়ে যেতে? উত্তরে শুরুতে সাংবাদিকের সঙ্গে মজা করে বলেন, ‘আপনার স্মৃতি খুব ভালো। আমাকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন। ’

এরপর প্রশ্নের উত্তরে হাথুরু বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি আপনি সবকিছু বদলে দিতে পারবেন না। যদি আমরা দলের ও দলের সংস্কৃতির জন্য ভালো জিনিসগুলো করে যেতে পারি, ফল এমনিতেই আসবে। আমরা ‍প্রতি ম্যাচ জিতবো না। সেটা করার চেষ্টা করবো। ’

‘আমরা একটা পরিপূর্ণ ম্যাচ খেলেছি, কিন্তু এটা কঠিন ছিল একটা ভালো দলের বিপক্ষে। আমাদের আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। আমরা এই ম্যাচটা শুরু করতে চাই সিলেটের ম্যাচটার মতো। একই রকম দুশ্চিন্তা, আশা ও লক্ষ্য নিয়ে। আমাদের প্রতিটি দিনই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হবে। ’

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন আরেকটি চক্র সিলেট টেস্ট ‍দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। আগের দুটি চক্রেই তারা ছিল তলানিতে। আগের চক্রে এসেছিল স্রেফ একটি জয়। এবার সিলেট টেস্ট জিতে প্রথম ম্যাচেই সেটি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। এবারের চক্রে বাস্তব লক্ষ্য কী হতে পারে বাংলাদেশের?

তিনি বলেন, ‘বাস্তব লক্ষ্য হতে পারে ঘরের মাঠে সবগুলো ম্যাচ জেতা। আমার মনে হয় সেটা করতে পারবো। আমি সিরিজ শুরুর আগেও বলেছি ঘরের মাঠে ভালো খেলার আশার কথা। এরপর বাইরে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার চেষ্টা করা। ’

‘আমাদের ভালো পেসার আছে যারা ভিন্ন কন্ডিশনে গিয়ে সাহায্য করতে পারে। আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররাও যেকোনো কন্ডিশনে গিয়ে খেলার সামর্থ্য রাখে। আমাদের তৈরি থাকতে হবে। বোর্ড কিছু ভালো ব্যাপার করেছে, যেমন ডিউক বল (এনসিএলে), ঘাসের উইকেটে খেলাচ্ছে (প্রথম শ্রেণিতে)। এটা পেসারদের ও পেসারদের খেলতে হবে এমন পরিস্থিতি ব্যাটারদের উন্নতিতে সাহায্য করছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর