প্রকাশিত:
১০ নভেম্বার ২০২৩, ১০:৩৮
জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররাই। লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৭২ রানের। কেন উইলিয়ামসনের দল জিতেছে ৫ উইকেটে, ১৬০ বল হাতে রেখে। এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে নিউজিল্যান্ড, সেমিফাইনালে দিয়ে রেখেছে এক পা।
রানরেটও বেশ ভালো নিউজিল্যান্ডের (০.৭৪৩)। এতে সেমিতে ওঠতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কাজটি হয়ে পড়েছে প্রায় ‘অসম্ভব’। ফলে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার পর শেষ দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে খেলা এখন অনেকটাই নিশ্চিত।
লঙ্কানদের এমন ভরাডুবিতে আদতে লাভ হয়েছে বাংলাদেশ দলের। নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে না হারলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা থাকবে টাইগারদের। যদি না। এছাড়া নেদারল্যান্ডস অবিশ্বাস্যভাবে ভারতকে হারিয়ে না দিলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে।
১৭১ রানের জবাবে কিউই দুই ওপেনারে উড়ন্ত সূচনা পায় নিউজিল্যান্ড। এই উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৮৬ রানের মাথায়। ৪২ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন কনওয়ে। রাচিনও থেমেছেন ফিফটির আগেই। দলের ৯৩ রানের মাথায় ৩৪ বলে ৪২ রান করে আউট হয়ে যান রাচিন রবীন্দ্র।
পরে কিউইদের রানের গতি সচল রাখেন চারে নামা ড্যারিল মিচেল। তবে ৩১ বলে ৪৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। জয়ের বাকি কাজটা সেরেছেন গ্লেন ফিলিপস। ১০ বলে ১৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ফিলিপস।
১৬০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। শ্রীলংকার হয়ে ২ উইকেট নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন মাহিশ থিকশানা এবং দুশমন্থ চামিরা।
বেঙ্গালুরুর এম চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই দাপট দেখায় কিউই পেসাররা। দলীয় ৩ রানে নিশাঙ্কাকে আউট করেন টিম সাউদি। ৩২ রানের মধ্যে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমা। চতুর্থ উইকেটে ৩৮ রান যোগ করে দলের বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেন ওপেনার কুশাল পেরেরা ও চারিথ আশালঙ্কা।
তবে ৭০ রানের মাথায় আবারও জোড়া আঘাত হানে কিউই বোলাররা। বলতে গেলে কুশল পেরেরা বাদে আর কোনো লঙ্কান ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। ২৮ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রানে ফেরেন পেরেরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৯ রান আসে মাহিশ থিকশানার ব্যাট থেকে।
শ্রীলঙ্কা আরও কম রানে অলআউট হতে পারতো, যদি না শেষ উইকেটে মহীশ থিকশানা ও মাদুশঙ্কা নিজেদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস না খেলতেন। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দশম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন তারা।
কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া রাচিন রবীন্দ্র, লকি ফার্গুসন ও মিচেল স্যান্টনারের শিকার দুটি করে উইকেট।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: