প্রকাশিত:
৩০ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:৪১
সর্বকালের সেরা আদর্শ প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উম্মতদের যেমন প্রকৃত মুসলিমের আচার-ব্যবহারের শিক্ষা দিয়েছেন, তেমনি পরকালে সফল হওয়ার রাস্তাও বাতলে দিয়েছেন। তার আদর্শ ও সুন্নত অনুসরণ প্রত্যেক মুমিনের জন্য অপরিহার্য। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসুলের আনুগত্য করো। আর তোমরা তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট করো না। (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত: ৩৩)
অপর আয়াতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘হে নবী আপনি তাদের বলে দিন- যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ৩১)।
কাজেই পরকালে সফলকাম হতে যেমন প্রিয়নবীর আদর্শ অনুসরণ জরুরি, তেমনি জীবদ্দশায় নবীজির দেয়া নানা আদেশ-উপদেশও মেনে চলা মুমিনের কর্তব্য। বিভিন্ন হাদিসে উম্মতদের জন্য রাসুল (সা.) এর দেয়া নানা দিক-নির্দেশনার কথা বর্ণিত হয়েছে। এরমধ্যে আছে পরকালে জাহান্নাম থেকে বাঁচার নির্দেশনাও।
এ ক্ষেত্রে দুই শ্রেণির মানুষ আছে যারা কখনোই জান্নাতে যাবে না। মহান রাব্বুল আলামিন তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত রেখেছেন। এ বিষয়ে একটি হাদিসে এসেছে, খাওলাহ আনসারীয়া (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি- কিছু লোক আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদ অন্যায়ভাবে ব্যয় করে, কেয়ামতের দিন তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৮৯৮)
অপর একটি হাদিসে আরেক শ্রেণির মানুষের জন্য জান্নাত হারাম করে দেয়ার বিষয়টি এসেছে। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি কসমের (মিথ্যা কসম) মাধ্যমে কোনো মুসলিমের হক বিনষ্ট করে তার জন্য আল্লাহ জাহান্নাম অবধারিত করে রেখেছেন এবং জান্নাত হারাম করে রেখেছেন। এ সময় জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসুল! অতি সামান্য বস্তু হলেও? জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, আরাক গাছের (বাবলা গাছের মতো এক ধরনের কাঁটাযুক্ত গাছ) ডাল হলেও এ শাস্তি দেয়া হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫২)
মন্তব্য করুন: