[email protected] শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪, ১৭ই কার্তিক ১৪৩১

বাঁচা-মরার লড়াই

৩৩৪ রানে থামলো বাংলাদেশ

খেলাধুলা ডেস্ক

প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০৩:২৯

ছবি: সংগৃহীত

নাজমুল হোসেন শান্ত রিভার্স সুইপটা করেই ছুটলেন রানের জন্য। ক্রিজের মাঝে গিয়ে পা পিচলে পড়ে গেলেন তিনি, আর উঠেই দাঁড়াতে পারলেন না।

নাজিবউল্লাহ জাদরান বলটা দিতেই রান আউট করলেন উইকেটরক্ষক রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পিচের মাঝপথ থেকে উঠে দাঁড়াতে না পেরে সাজঘরে ফিরতে হলো শান্তকে, ততক্ষণে তুলে দিয়ে গেছেন দলকে। মেহেদী হাসান মিরাজ তার সঙ্গী ছিলেন পুরো পথজুড়ে। দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা।
রোববার লাহোরে এশিয়া কাপে প্রথম রাউন্ডে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের সামনে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে এই রান করেছে তারা।

টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট হেরে যাওয়ার ম্যাচের একাদশে আসে তিন পরিবর্তন। বদলে যায় উদ্বোধনী জুটিও। আগের ম্যাচে অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম ছিলেন না একাদশেই, নাঈম শেখ নামেন মিরাজকে নিয়ে। ফজল হক ফারুকী এতদিন বাংলাদেশের টপ-অর্ডারদের জন্য বিভীষিকা হয়ে থাকলেও এ ম্যাচে শুরু থেকেই স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে পাননি তিনি।

ফারুকীর করা প্রথম ওভারেই আসে ১৪ রান। রানের গতি পাওয়ার প্লে জুড়েই ছিল ওভার প্রতি ছয়ের ঘরে। দশম ওভারের শেষ বলে এসে নাঈম শেখ বোল্ড হন মুজিব উর রহমানের বলে, তখন বাংলাদেশের রান ৬০। ৫ চারে ৩২ বলে ২৮ রান করেন নাঈম। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসে এরপরও।

তিনে খেলতে পাঠানো হয় তাওহীদ হৃদয়কে, এ জায়গায় থিতু হওয়া শান্তর বদলে। হৃদয় অবশ্য ফেরেন নিজের দ্বিতীয় বলেই, অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ইব্রাহিম জাদরানের হাতে। হুট করে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

এরপর রানের গতিটাও কিছুটা কমে আসে। ১০-২০ ওভারে আসে কেবল ৪৮ রান। মিরাজ বেশিই ডট বল খেলছিলেন। এক সময় ৪৬ বলে তার রান ছিল ২৮। কিন্তু এই ব্যাটার ছিলেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সময়ের সঙ্গে হাত ‍খুলেছেন তিনি। মাঝে ফজল হক ফারুকীর ৩৩তম ওভারে ১৭ রান নেন শান্ত।

ক্রমেই বড় হতে থাকে মিরাজের সঙ্গে তার জুটি। দুজন হাঁটেন সেঞ্চুরির দিকেও। ৪৪তম ওভারের চতুর্থ বলে গুলবাদিন নাঈবের বলে সিঙ্গেলস নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ, ১১৫তম বলে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়ার পর ড্রেসিংরুমের দিকে ছুটে গিয়ে নিজের জার্সি নম্বর দেখান তিনি।

মিরাজ অবশ্য সাজঘরে ফেরেন আউট না হয়েই। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে মুজিব উর রহমানকে ছক্কা মারেন তিনি, তখনই ব্যথা পান হাতে। তার জায়গায় উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর