[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

মেসির নৈপুণ্যে রোমাঞ্চকর জয়ে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে মায়ামি

খেলাধুলা ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৪ আগষ্ট ২০২৩, ১৭:০৭

সংগৃহীত ছবি

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৬৭ মিনিট পর্যন্ত ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকল ইন্টার মায়ামি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে নিল দলটি। যে দুটি গোল পরিশোধ করল, সেই দুটিই তৈরি করে দিলেন লিওনেল মেসি। অতিরিক্ত সময়েও দুই দল একটি করে গোল পাওয়ায় সমতাই থাকল। তাই টাইব্রেকারে নির্ধারন হলো ম্যাচের ফল। যেখানে মায়ামি তাদের সবগুলো শটে লক্ষ্যভেদ করলেও এফসি সিনসিনাটি পারল না শেষটায়। সুবাদে ঘুরে দাঁড়ানো দারুণ এক জয়ে লিওনেল মেসিরা পৌঁছে গেল ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এফসি সিনসিনাটিকে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হারায় মায়ামি। নির্ধারিত সময় শেষে স্কোরলাইন ছিল ২-২। অতিরিক্ত সময় শেষে সেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩।

মায়ামির জার্সিতে অভিষেকের পর টানা ৭ ম্যাচে ১০ গোল করা মেসি এ ম্যাচে জালের দেখা পাননি ঠিক। তবে টাইব্রেকারে দলের প্রথম শটটি তিনিই নেন। গোল করতে ভুল করেননি। আর নির্ধারিত সময়ে ঘুরে দাঁড়ানো যে দুই গোল মায়ামির, দুটিই আর্জেন্টাইন তারকার তৈরি করা। সব মিলিয়ে মায়ামির এ ম্যাচটাও পুরো মেসিময় বলা যায়।

অথচ ম্যাচের গল্পটা অন্যভাবে লেখা হবে বলেই মনে হচ্ছিল। অন্যভাবে বলতে মায়ামির জয়রথ থামা। কিন্তু তাহলে একজন মেসি আর কেন আছেন দলটিতে!

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে লুসিয়ানো অ্যাকোস্তার গোলে এগিয়ে যাওয়া সিনসিনাটি ৫৩ তম মিনিটে ব্রান্ডন ভাসকেজের গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। এরপর মেসির অ্যাসিস্টে মায়ামির পক্ষে জোড়া করে ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান লিওনার্দো কাম্পানা। সেখানে জোসেফ মার্তিনেজ শুরুতেই গোল পেয়ে যান। মায়ামি এগিয়ে যায় ৩-২ ব্যবধানে।

কিন্তু নাটকের শেষ সেখানেও নয়। ১১৪তম মিনিটে গোল করে ইয়ুয়া কুবো স্কোর ৩–৩ করেন। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে দুই দল মিলিয়ে ১০ শটে শুধু গোল পাননি সিনসিনাটির নিক হ্যাগলন্ড।

দিন চারেক আগে লিগস কাপের শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যা বড় কোনো আসরে দলটির প্রথম শিরোপা। এবার আরও এক প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ইউএস ওপেন কাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: দেশ রূপান্তর

বাংলা গেজেট/বিএম


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর