[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ ১৪৩১

মনোনয়ন পেয়ে হঠাৎ ইসিতে সাকিব

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৭ নভেম্বার ২০২৩, ২০:৪৭

ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গতকাল মাগুরা-১ সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মনোনয়ন পেয়ে হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন ইসিতে আসেন তিনি।

জানা গেছে, রাজধানীর বনানী এলাকায় ভোটার হয়েছেন সাকিব। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা সদর থেকে নৌকা মার্কার প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। তাই পরিবর্তন করতে হচ্ছে ঠিকানাও।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে হঠাৎ করে নির্বাচন ভবনে আসেন। আবার কয়েক মিনিটের ব্যবধানে নির্বাচন ভবন ত্যাগ করেন তিনি। ইসি সূত্রে এমন তথ্য জানা যায়।

ইসি সূত্রে জানা যায়, সাকিব আল হাসান ইতোমধ্যেই তার বর্তমান ঠিকানা ঢাকার বনানী থেকে পরিবর্তন করে মাগুরা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে নিতে চান। সংসদ নির্বাচন প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটার হতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

তবে প্রার্থী নিজেই যদি নিজেকে ভোট দিতে না পারেন তবে ভোটারদের মাঝে ভুল বার্তা যায়। এমন উপলব্ধি থেকেই তিনি বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। আর বর্তমান ঠিকানাই একজন নাগরিকের ভোটার এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইসি সূত্রে আরও জানা যায়, নির্বাচনের কারণে গত ১৪ সেপ্টেম্বরের পর নতুন করে ভোটার তালিকায় কাউকে যুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নিলেও ভোটার এলাকা স্থানান্তরে অসুবিধা নেই। কেননা, যিনি প্রার্থী হবেন তাকে অতীতেও অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এক্ষেত্রে সাকিবের ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনটি কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হবে। কমিশন অনুমোদন দিলে তার ভোটার এলাকা পরিবর্তন হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, মাগুরা ১ ও ২ আসন ছাড়াও ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় আবেদন ফরম নিয়েছিলেন সাবিক আল হাসান। গত ২১ নভেম্বর দুপুরের পর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে নিজে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি। এরপর ২৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন সাকিব।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর