প্রকাশিত:
২৩ নভেম্বার ২০২৩, ২২:১৮
২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিট নিশ্চিতে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। যেখানে ১-০ গোলে জয় তুলে নেয় আলবিসেলেস্তেরা। লাতিন আমেরিকার এ দুই দেশের লড়াই মানেই যে উত্তাপ-উত্তেজনা তার প্রমাণ মিলেছে আরও একবার।
খেলা শুরুর আগেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের সমর্থকরা গ্যালারিতে দাঙ্গায় জড়ান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করে ব্রাজিলিয়ান পুলিশ। ইতোমধ্যে এ নিয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের খেলা শেষে আর্জেন্টিনার এক নারী সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনটায় জানায় ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’।
সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবোর’ তথ্য অনুসারে, জাতিগত অবমাননার অভিযোগে আর্জেন্টাইন ভক্তকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন- মারিয়া বেলেম মাতেউচি নামে এই আর্জেন্টাইন ভক্ত, বানর বলে গালি দিয়েছেন। অন্যদিকে টিজেআরজে(ট্রাইব্যুনাল ডি জাস্টিকা ডো এস্তাদো ডো রিও ডি জেনেইরো)-এর মতে, দাঙ্গা, অবমাননা, প্রতিরোধ সহ অন্যান্য অপরাধের জন্য মারাকানা-তে ঘটে যাওয়া সংঘাতে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রথমে এই মারামারির কারণ জানা না গেলেও, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর ধারাভাষ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত বাজার সময় ব্রাজিলের সমর্থকেরা দুয়ো দেয়ায় ঝামেলার শুরু হয়। পরে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে চলে যেতে বলা হয়। পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আধা ঘণ্টা পর ম্যাচ মাঠে গড়ায়।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠের লড়াইয়ের আগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উপর চেয়ার ছুঁড়ে মারেন ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তা দাঙ্গায় রূপ নেয়। এ নিয়ে আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় স্পোর্টস অনলাইন টিওয়াইসি স্পোর্টসে বলা হয়েছে, ম্যাচ শুরুর আগে যখন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা নিজ দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলো, তখনই গ্যালারিতে ব্রাজিল পুলিশ কর্তৃক আক্রান্ত হন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। তখন আর্জেন্টিনা সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। এতে সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ রূপ নেয়।
এ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে গ্যালারির সংঘর্ষ নিয়ে কথা বলতে আসেন মেসি। বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই খুব খারাপ কাজ হলো। দর্শকদের কীভাবে পুলিশ পিটিয়েছে, সেটা আমরা দেখেছি। লিবার্তোদোরেসের ফাইনালেও দক্ষিণ আমেরিকার প্রধান মহাদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে এমন হয়েছিল, এখন আবারও পেটানো হলো। সেখানে গ্যালারিতে খেলোয়াড়দের পরিবারও ছিল। আর সবার আগে পরিবার। তখন খেলার চেয়ে ওই চিন্তাটাই আগে আসে, বাকি সব গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।’
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: