প্রকাশিত:
২২ নভেম্বার ২০২৩, ২১:৩৩
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজে খেলছেন না সাকিব আল হাসান। হাতের ইনজুরি নিয়ে ক্রিকেটের বাইরে রয়েছেন। রাজনীতির মাঠে নামার জন্য প্রাক প্রস্তুতি অবশ্য নিয়ে ফেলেছেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তবে বুধবার বিসিবিতে এসেছিলেন সাকিব। বোর্ডে এসেছিলেন কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহেও। জাতীয় দলের নির্বাচকদের নিয়ে দুজনে লম্বা সময় ধরে আলোচনায়ও ছিলেন।
সাকিব তো তার আগের দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী ওয়ানডে অধিনায়ক আর নেই। তাহলে কেন তিনি এখনো দল নিয়ে আলোচনা করছেন নির্বাচকদের সঙ্গে। এই প্রসঙ্গে বিসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘সাকিব যে আর অধিনায়ক না সেটা তো আমরা জানি না!
এই বিষয়ে ও আমাদের এখনো কোনোকিছু জানায়নি। তাই ও এখনো অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ড সিরিজে খেলছে না ইনজুরির জন্য। তবে সামনের মাসে নিউজিল্যান্ডে যে ওয়ানডে ও টি- টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে সেই বিষয়ে দল নির্বাচনের জন্যই নির্বাচক ও কোচের সঙ্গে এদিন আলোচনায় এসেছিল সাকিব। টেস্ট সিরিজের পরপরই তো সেই সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড যাবে।’
২৮ নভেম্বর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট সিরিজে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হবে সিলেটে। দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট ঢাকার মিরপুরে।
বিশ্বকাপের ব্যর্থ মিশন শেষে এটাই হবে বাংলাদেশের প্রথম কোনো ক্রিকেট সিরিজ। বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের মধ্যে ৭টি হার এবং মাত্র দুটিতে জয় নিয়ে ফিরে বাংলাদেশ। দশ দলের মধ্যে হয় অষ্টম। টুর্নামেন্ট থেকে সবার আগে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের মতো নবিস দলের কাছেও বড় ব্যবধানে বিশ্বকাপে হেরেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে একটি টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাতে সাকিব জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর তিনি আর অধিনায়ক থাকবেন না। তবে সাকিব সেই বিষয়ে এখনো বিসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি। আর বুধবার বিসিবিতে নিউজিল্যান্ড সফরের দল নিয়ে নির্বাচক এবং কোচের সঙ্গে তার আলোচনায় বোঝা গেল অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সম্ভবত তিনি সরে এসেছেন।
উল্লেখ্য, সাকিব আল হাসান জাতীয় নির্বাচনের জন্যও দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের টিকেটে তিনি জাতীয় নির্বাচনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি মাগুরা ১, মাগুরা ২ ও ঢাকা ১০, এই তিন আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন এবং নিজ হাতে জমাও দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ৭ জানুয়ারি।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: