প্রকাশিত:
১৯ নভেম্বার ২০২৩, ২১:৩৯
২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলের হেড কোচ ছিলেন জেমি সিডন্স। এর কিছুদিন পরেই যোগ দেন বাংলাদেশ শিবিরে হেড কোচ হিসেবে। এরপর ২০১১ সাল পর্যন্ত টাইগারদের দায়িত্বে ছিলেন। এরই মধ্যে গড়েছেন সাকিব, তামিম, মুশফিকদের মতো রত্নদের। এই ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রতিভার জানান তো দিয়েছিলেন আগেই।
কিভাবে প্রতিভাবে শক্তিতে পরিণত করতে হয়, তা দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন জেমি সিডন্স। তৈরি করে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ক্রিকেট তারকাদের। সব মিলিয়ে সিডন্সের অধীনে বাংলাদেশ ১৯ টেস্টের ২টি ও ৮৪ ওয়ানডের ৩১টিতে জিতেছে।
এরপর কেটে গেল, বহু বছর ধীরে ধীরে এগোলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট পাড়ি দিয়ে দিয়েছে অনেকটা পথ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবারও দেশের ক্রিকেটে ডাক পড়ে সিডন্সের। তবে এবার হেড কোচ হিসেবে না, টাইগারদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে। তবে সে দায়িত্বে তাকে বেশিদিন রাখেনি বিসিবি। এরপর ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে।
সেখানেও খুব বেশি দিন কাজ করতে পারলেন না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১২ দিন আগেই তাকে বিদায় করে দিয়েছে। বলতে গেলে অ্যালান ডোনাল্ডের পর সিডন্সের বিদায়ও হলো অনেকটা নিরবে, নিভৃতে। তাহলে কি হাথুরুর ইন্ধনেই সিডন্সকে বিদায় করেছে বিসিবি, নাকি এটা বিসিবিরই অপরিক্কতা, এরকম অনেক প্রশ্নই বর্তমানে ঘুরপাক খাচ্ছে টাইগার ক্রিকেট ভক্তদের মনে।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: