[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

হ্যারি কেন এখন বায়ার্ন মিউনিখের

খেলাধুলা ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৪ আগষ্ট ২০২৩, ০১:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

দল বদলের মৌসুমে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন ইংল্যান্ডের ফুটবলার হ্যারি কেন। ক্লাব ফুটবলে টটেনহ্যামের এই তারকা অবশেষে বায়ার্ন মিউনিখে নাম লেখাচ্ছেন।

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই দল বদলের বাজারে আলোচনায় ছিলেন হ্যারি কেন। তার টটেনহ্যাম ছাড়তে চাওয়ার বিষয়টি ছিল অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজি তাকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

এবার সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে বায়ার্ন মিউনিখেই যোগ দিলেন হ্যারি কেন। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত খেলবেন ইংলিশ এই স্ট্রাইকার। দল বদল বিষয়ক ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর পাশাপাশি কেনের একটি বার্তা প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ।

এছাড়াও হ্যারি কেনও ভক্তদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিয়েছেন এবং বায়ার্নে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বায়ার্নের সঙ্গে কেনের চুক্তির বিষয়টা আগে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু শুক্রবার (১১ অগস্ট) হুট করেই বিশেষ কারণে ইংলিশ স্ট্রাইকারের জার্মানি যাত্রা রুখে দেয় তার সাবেক ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার। বেশ কিছুক্ষণ বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার পর অবশ্য অনুমতি মেলে ইংলিশ স্ট্রাইকারের।

মিউনিখে কেনের জন্য সবকিছু প্রস্তুত-ই ছিল। সেখানে পোঁছেই মেডিকেল টেস্ট সেরে নিয়েছেন তিনি। একইদিনে সেরে ফেলেছেন চুক্তির বিষয়টাও। খুব শীঘ্রই বায়ার্নের সঙ্গে কেনের চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ১০০ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ৯১০ কোটি টাকারও বেশি অর্থে বায়ার্নে যাচ্ছেন কেন। এছাড়া রিলিজ ক্লজ হিসেবেও পাচ্ছেন প্রায় ১০০ কোটির ইউরো।

কেনকে দলে নিতে যে চলতি মৌসুমেই বায়ার্ন আগ্রহ দেখিয়েছে তা নয়। গত মৌসুমেও কেনকে কিনতে চেষ্টা করেছিল জার্মানের ক্লাবটি। তবে টটেনহ্যাম কোনওভাবেই কেনকে বিক্রি করতে রাজি ছিল না। তবে চলতি দলবদলে বায়ার্নের বিশাল প্রস্তাবে আর ‘না’ করতে পারেনি ইংলিশ ক্লাবটি। কেনকে বায়ার্ন চুক্তি করালে ক্লাবটির সর্বোচ্চ মূল্যের খেলোয়াড় হবেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

২০১০-১১ মৌসুমে থেকে ২০২৩ সালের অগস্ট পর্যন্ত কেন আছেন টটেনহ্যামে। মাঝে দুয়েকটা ক্লাবে লোনে খেলতে গেলেও টটেনহ্যামই তার আসল ঘর।

২০১৩-১৪ মৌসুম থেকে লিগে প্রতিবারই ২০টির বেশি গোল করছেন তিনি। ক্লাব ও জাতীয় দল-সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৮৪ ম্যাচে ৩৫৪ গোল করেছেন কেন। যার মধ্যে জাতীয় দলের জার্সিতে ৮৪ ম্যাচের নেমে তার করা গোলের সংখ্যা ৫৮টি।

হ্যারি কেইনের সামনে প্রথম ট্রফি জেতার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল ২০১৪-১৫ মৌসুমে। সেবার কারাবো কাপের ফাইনালে উঠেছিল স্পার্সরা। কিন্তু, চেলসির কাছে ২-০ গোলে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় হ্যারি কেনদের। টটেনহ্যাম কারাবো কাপের ফাইনালে উঠেছিল ২০২০-২১ মৌসুমেও। কিন্তু, সেবার তারা হারে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে। ২০১৮-১৯ মৌসুমে স্বপ্নের এক যাত্রা শেষে ফাইনালে লিভারপুলের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বাদ পায়নি হ্যারি কেনের টটেনহ্যাম। বার বার দলীয় ব্যর্থতার পর ভাগ্য বদল করতে কেনও এবার ক্লাব ছাড়লেন।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর