প্রকাশিত:
৩১ অক্টোবার ২০২৩, ১৮:৪০
২৩ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলের হাল ধরেন। তারা দুজন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৯ রানে ৭৯ রান সংগ্রহ করে। তাতে বাংলাদেশের রানও ১০০ পেরোয়। দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরুতে না পেরুতেই আউট হয়ে যান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন দাস। ইফতিখার আহমেদের বলে মিডউইকেটে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৬৪ বল খেলে ৬টি চারে ৪৫ রান করে যান লিটন।
লিটন-মাহমুদউল্লাহ জুটির ফিফটি:
২৩ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি ইতোমধ্যে ফিফটি রান তুলেছে। ৭২ বলে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে যোগ করেছে ৫৮ রান। ১৮ ওভার পর্যন্ত লিটন ৩৮ ও মাহমুদউল্লাহ ৩২ রানে ব্যাট করছেন। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোচ্ছে বাংলাদে।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ৩৭
শুরু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় আরও একবার পাওয়ার প্লেতে প্রত্যাশামত রান তুলতে পারলো না বাংলাদেশ। প্রথম দশ ওভারে ৩ উইকেটে এলো ৩৭ রান। তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম; তিন জনের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের ব্যর্থ রিভিঊ
মুশফিকের আউটের পর নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে দ্রুত ফেরাতে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। হারিস রউফের বল পা এগিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। রউফের আগ্রহে রিভিউ নেন বাবর আজম। রিভিউতে দেখা যায়, বল যেতো লেগ স্টাম্পের উপর দিয়ে। সে সময় ২ রানে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
এক ওভারে তিন চার ও মুশফিকের বিদায়
হারিস রউফের ওভারটি হতে পারতো বাংলাদেশের মোমেন্টামের। হলো উল্টো। তার দুটি ফুললেংথের বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে দুটি চার মেরে শুরু করেন লিটন। পরে ফুললেংথে পেয়ে স্কয়ার ড্রাইভে ওভারের তৃতীয় চারটি মেরেছিলেন মুশফিক। কিন্তু এরপর লেংথ পিছিয়ে নিলেন হারিস।ধরা খেলেন মুশফিক। খোঁচা দিয়ে আউট।
শাহীন শাহর ১০০*
ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ব্যাটারকে আউট করে পেসারদের মধ্যে দ্রুততম ১০০ উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে আফ্রিদি (৫১ ম্যাচ) ছাড়িয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ককে (৫২ ম্যাচ)। তানজিদ হাসানের উইকেটটি ছিল শাহিন শাহ আফ্রিদির ক্যারিয়ারের ১০০তম।
এবার নেই শান্ত
তানজীদের পর নেই নাজমুল হোসেন শান্ত। শরীর থেকে বেশ দূরে থেকে ঘুরিয়ে খেলেছিলেন শান্ত। শর্ট মিডউইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন উসামা মীর।আউটের আগে ৪ রান করেছেন শান্ত।
শূন্যতেই নেই তানজিদ
শাহিন শাহ আফ্রিদির ভেতরের দিকে ঢোকা বল। পা নাড়ানোর সুযোগ পাননি তানজীদ। হয়েছেন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিলেও তা কাজে আসেনি, উইকেটে ছিল আম্পায়ার্স কল। তানজিদ ফিরেছেন কোনো রান না করেই, বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে কোনো রান না তুলতেই।
মেহেদীর জায়গায় দলে হৃদয়
পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ।শেখ মেহেদী হাসানের জায়গায় দলে ফিরেছেন তাওহীদ হৃদয়। মানে একজন ব্যাটসম্যান বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম।
পাকিস্তান একাদশে তিন পরিবর্তন
ফখর জামান, আগা সালমান ও উসামা মীর ফিরেছেন দলে। জায়গা হারিয়েছেন ইমাম-উল-হক, শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। মীর অবশ্য আগের ম্যাচে দলে এসেছিলেন শাদাবের কনকাশন-বদলি হিসেবে।
পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আগা সালমান, উসামা মির, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ।
টস
ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ফিল্ডিং করবে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের সুযোগের ম্যাচ, জয়ের বিকল্প নেই
এই ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য সুযোগের সদ্ব্যবহার করার ম্যাচ। আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হলে এই ম্যাচে সাকিবদের জিততেই হবে। কেননা, চলতি বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের সেরা ৭টি দলই কেবল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ পাবে। সে হিসেবে পয়েন্ট টেবিলে সেরা সাতে থাকতে হলে বাংলাদশের সামনে জয়ের কোনো বিকল্প নেই।
পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-পাকিস্তান
মাঠের লড়াইয়ের আগে দুই দলের অতীত পরিসংখ্যানের খাতা থেকে একবার ঘুরে আসা যাক। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৩৮ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় পাঁচটিতে এবং বাকি ৩৩ ম্যাচেই হেসেছে পাকিস্তান।
এই ফরম্যাটে গত সেপ্টেম্বরে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এশিয়া কাপে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল দুই দলের। সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের হিসেব ঘাটলে দেখা যায়, এর আগে মাত্র দুইবার বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তাতে দুই দলের জয়-পরাজয়ের হার ফিফটি-ফিফটি। দুই দলই একবার করে ম্যাচ জিতেছে।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই অঘটনের জন্ম দেয় বাংলাদেশ। শক্তিশালী পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করে ৬২ রানের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এরপর ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত আসরে ৯৪ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে পরিসংখ্যানে সমতা টানে পাকিস্তান।
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: