[email protected] শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪, ১৭ই কার্তিক ১৪৩১

৩৩ বছর পর ইডেনে টাইগাররা

খেলাধুলা ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৮ অক্টোবার ২০২৩, ১৯:৪২

ফাইল ছবি

পৃথিবীতে ক্রিকেটের যত বিখ্যাত স্টেডিয়াম আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ভারতের কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেন্স। বিশ্ব ক্রিকেটের যত স্টেডিয়াম আছে তার মধ্যে এটি তৃতীয় বৃহৎ স্টেডিয়াম। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই মাঠে খেলতে নামবে সাকিব বাহিনী।

ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর স্টেডিয়াম ইডেন। যার তুলনা চলে লর্ডস -মেলবোর্নের মতো ক্রিকেটের তীর্থস্থানের সাথে। ১৮৬৪ সালে নির্মিত হওয়ায় এটিই ভারতের সবচেয়ে পুরনো স্টেডিয়াম। একটা সময় লক্ষাধিক মানুষ এখানে একসাথে খেলা দেখতে পারত। যদিও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজারে।

তবে ইডেন গার্ডেন ক্রিকেট দুনিয়ার এক স্মৃতিবিজড়িত নাম। বেশকিছু বিখ্যাত ম্যাচের সাক্ষী এই স্টেডিয়াম। অস্ট্রেলিয়া-ভারত গা ছমছমে টেস্ট, লক্ষণ-দ্রাবিড়ের অবিশ্বাস্য যুগলবন্দী, জগমোহন ডালমিয়ার স্মৃতি মাখা, সৌরভ গাঙ্গুলির ব্যাট হাতে ছবি আঁকা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাফেটের চার ছক্কা; কত কত রোমাঞ্চকর ম্যাচ আর হাসি-কান্নার অদ্ভুতে মিশেল; কপিল-হারভজনের হ্যাটট্রিক আর রোহিত শর্মার ইতিহাস গড়া ২৬৪! এমন আরো শতো রূপকথার সাক্ষী ইডেন।

ভারতের স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে এই ভেন্যুতেই সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা হয়েছে৷ সাদা পোশাকের এই ফরম্যাট রঙিন হয়ে আছে ভারত-বাংলাদেশের গোলাপি বলের লড়াইয়ে। জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে বছর চারেক আগে এই ইডেনেই গড়ায় উপমহাদেশের প্রথম ডে-নাইট টেস্ট।

ঢাকা থেকে আকাশপথে ২৫০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্ব ইডেনের। তবে ‘পাশের বাড়ির’ মাঠে গত ৩৩ বছরে কোনো ওয়ানডে খেলা হয়নি বাংলাদেশের। সেই ১৯৯০ সালে এশিয়া কাপে প্রথমবার ইডেনে ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ, মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কার।

বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে যদিও বাংলাদেশ ৭১ রানে হেরে যায়। তবে ৯৫ বলে অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন আতহার আলি খান, যা ওয়ানডে কোনো বাংলাদেশির প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৫০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

এবারের বিশ্বকাপে মোট ৫টি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ইডেন। যেখানে আছে বাংলাদেশেরই দুটি ম্যাচ। ২৮ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ও ৩১ অক্টোবর খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

ইডেনের উইকেট বেশ অনেক আগে থেকেই রানপ্রসবা। ২৭৫ কিংবা তারচে বেশি রান হরহামেশাই দেখা যায় এখানে। ৩০০ রানের গণ্ডিও পেরিয়েছে নয়বার। তবে স্পিনাররাও একটু বাড়তি সুবিধা পায়। প্রথম ইনিংসের গড় এই মাঠে ২৪১, দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৩।

এখন পর্যন্ত ইডেনের ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে জয় এসেছে ২০ ম্যাচে। পরে ব্যাট করে জয় এসেছে ১৪ ম্যাচে। তাই বলাই বাহুল্য, এখানে ব্যাটে-বলে লড়াইটা জমে সমানে সমানে।

সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৪০৪/৫ ভারতের। সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর ১২৩ ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ইডেনের মাঠে সর্বোচ্চ রান শচীন টেন্ডুলকারের, ৪৯৬। সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট অনিল কুম্বলের।

এখন দেখার বিষয়, বিশ্বকাপে খাদের কিনারে পৌঁছে যাওয়া বাংলাদেশ অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই মাঠে নতুন ইতিহাস লিখতে পারে কি না!

 

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর