[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

‘ক্রিকেটের উদ্দেশ্যে সাকিব ঢাকায় ফিরেছিল, অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিত’

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৭ অক্টোবার ২০২৩, ১৯:২৯

ছবি: সংগৃহীত

মুম্বাই থেকে দলের সঙ্গে কলকাতায় না এসে সরাসরি ঢাকায় ফেরেন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সাকিব দল থেকে ছুটি নিলেও ঢাকায় ফিরে ছুটেছেন শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে। দুদিন মিরপুরের ইনডোরে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

প্রথমদিন প্রায় তিন ঘণ্টা এবং দ্বিতীয় দিন দুই ঘণ্টা অনুশীলন করে নিজের ভুলগুলো শুধরে নিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন আরো শাণিত। বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলে যথাক্রমে ১৪, ১, ৪০ ও ১ রান করা সাকিব ব্যাটিংয়ের ছন্দহীনতা ভুগছেন। এজন্য প্রিয় কোচের সান্নিধ্য পেতে দেশে ফিরেছিলেন।

তবে বিশ্বকাপ চলাকালীন দলকে রেখে অধিনায়কের এমন হুটহাট দেশে ফিরে আসায় সমালোচনাও হয়েছে। দল যখন টানা হারছে তখন অধিনায়কের আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল বলেই মন্তব্য করছেন অনেকে। ঢাকায় সাকিবের তিনদিনের অনুশীলনের কথা ছিল। কিন্তু দলের ডাকে একদিন আগে তাকে ফিরতে হয় কলকাতায়।

সাকিবের ঢাকায় ফেরা এবং অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া নিয়ে কোনো আপত্তি তুলছেন না দলের ক্রিকেটাররা। বরং দলের ছুটির দিনে সাকিবের এই প্রচেষ্টাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করছে দল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ। সেখানে সাকিবের অনুপস্থিতিতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাসকিন বেশ ভালোভাবেই জানালেন, তারা সাকিবের ঢাকা পর্বের অনুশীলন নিয়ে খুশি।

‘আসলে এটা (তার অনুপস্থিতি) খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। সে যখন ফিরে এসেছে আমরা দলের সবাই খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। আসলে সে নিজের কিছু উন্নতির জন্য গিয়েছিল। ব্যাটিং প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করছিল না। এজন্য নির্দিষ্ট কিছু অনুশীলনের জন্য গিয়েছিল যেন আমাদের দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারেন। আমি মনে করি, আমাদের এটাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিত।’

সব প্রক্রিয়া মেনেই সাকিব দেশে ফিরেছিলেন বলে জানালেন তাসকিন, ‘সে আমাদের ম্যানেজমেন্ট বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছে এবং তারপর গিয়েছে। সেদিন আমাদের রেস্ট ডেও ছিল। অফিসিয়াল অনুশীলনে সে কিন্তু দলের সঙ্গেই আছেন। আমি মনে করি আমাদের এটাকে আরো অ্যাপ্রিসিয়েট করা উচিত। আমাদের কোনো প্রবলেম নেই। এটা আমাদের উপর কোনো প্রভাব রাখেনি।’

অধিনায়ক বলেই সাকিব বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। দলের অন্য কেউ এই সুবিধা পেতেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাসকিন সেসব নেতিবাচক বিষয়গুলো এড়িয়ে সাকিবের দুদিনের ঢাকা সফরের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েই বেশি ভাবছেন।

‘টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সে যখন কথা বলেছে, তার ব্যাটিং নিয়ে একটা কিছু অনুশীলন করা দরকার। আবার সেই দিনটা বিশ্রামের দিনও ছিল। কলকাতা থেকে কাছে ছিল। এজন্য আসলে সে গিয়েছে। সে তো আসলে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে যায়নি। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। কোচ আর ম্যানেজমেন্ট যখন বলেছে ওকে ফাইন। তখন সে গেছে।’

তাসকিন আরো বলেন, ‘কোনো কিছু আসলে রুল ব্রেক করে যায়নি। অনুমতি নিয়ে গেছে। গিয়ে কিন্তু চার ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেছে। পরের দিনেই আবার প্র্যাকটিস করে চলে এসেছে। এটা আসলে আমরা খেলোয়াড়, টিমমেটরা অ্যাপ্রিশিয়েট করছি যে, রেস্ট ডে-তে সে গিয়ে ব্যাটিং করছে। তার ব্যাটিংটা আমাদের দলের জন্য এতোটা গুরুত্বপূর্ণ, সেও মরিয়া যে কিভাবে ভালো করা যায়।’

‘তার আসার পর আমাদের দলের সবাই একটা ডিনার করেছি। একটা ভালো টাইম কাটিয়েছি। আশা করছি সামনে নতুন কিছু শুরু করবো ভালো কিছু করে। চারটা ম্যাচ আছে এই চারটা ম্যাচও যদি ভালো খেলতে পারি তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারে। এখন আসলে কালকের ম্যাচটাই মেইন ফোকাস।’-যোগ করেন এই পেসার।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর