প্রকাশিত:
২৩ অক্টোবার ২০২৩, ২০:২৮
আমি চিরতরে দূরে চলে যাব তবু আমারে দেব না ভুলিতে- সত্যিই এক জীবন বটে পেলের। পৃথিবীতে যতদিন কেউ লাথি মারবে ফুটবলে; ততদিন জানবে এই গ্রহে একজন ছিলেন। যাকে মানুষ উন্মাদের মতো ভালবেসেছে। ফুটবল বলতেই কেবল তাকে বুঝেছে। জীবদ্দশায় ব্রাজিলকে তিনটি বিশ্বকাপ জিতিয়ে যেই শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরেছিলেন তিনি। তা আজও আলোকিত করে ব্রাজিলকে। সেই ফুটবল রাজার ৮৩ তম জন্মদিন আজ। চারিদিকে কতশত আয়োজন। অথচ দেখুন সব মায়া কাটিয়ে বহু দূরে তিনি।
গত বছর ২৯ ডিসেম্বর পৃথিবীর মায়া কাটানোর পর এই প্রথম জন্মদিন পেলের। ফুটবলের রাজার জন্মদিন উপলক্ষে সাজানো হয়েছে তার শোবার ঘর। তিনি শুয়ে আছেন পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু সমাধিক্ষেত্রে। ১৪ তলা ভবনের ৯ তলায় শুয়ে ফুটবলের রাজা দেখছেন তার প্রিয় সাও পাওলো শহর। দেখছেন তার প্রথম ফুটবল শেখার সেই সান্তোসকে। আর দেখছেন তার উত্তরসূরিদের ফুটবলে লাথি দেওয়া। অথচ মুখ ফুটে যে বলবেন, এভাবে নয়; এইভাবে লাথি দিলে শটে গতি পাবে। সে উপায় নেই।
অথচ কি সুন্দর জীবন ছিল তার। যখন যেভাবে চেয়েছেন তাই হয়েছে। জন্মের পর উরুগুয়ের বিপক্ষে ১৯৫০ সালে নিজ দেশকে হারতে দেখে বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন; একদিন এই ট্রফি ঠিকই দেশকে এনে দেবেন তিনি। সেই ছেলেটা পরবর্তীতে কথা রেখেছে দেশকে তিনটি ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপ জিতিয়ে। সাফল্যের প্রতিটি সিঁড়ি বেয়ে উঠেছে চূড়ায়। ফুটবলে মুগ্ধতা ছড়িয়ে শাসন করেছে গোটা বিশ্ব।
অথচ তার জন্মটা হয়েছিল সাও পাওলোর এক বস্তিতে। ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর সাও পাওলো শহরের ট্রেস কোরাকয়েসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পেলে। জন্মটা বস্তিতে হলেও বাব-মা ছেলের নাম রেখেছিলেন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের সঙ্গে মিল রেখে ‘এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো’। পরবর্তীতে বস্তির সেই ছেলেটাই ফুটবলে মোহিত করে রেখেছিল গোটা বিশ্ব। বদলে দিয়েছিল মানুষের ধ্যান ধারনা। জন্মে নয় কর্মে মানুষের পরিচয়।
১৯৫৬ সালে সান্তোসের হয়ে পেশাদার ফুটবল শুরু করা পেলে ১৯৭৭ সালে নিউইয়র্ক কসমসের হয়ে ফুটবলকে বিদায় জানানোর আগে ক্লাবের হয়ে ৬৯৪ ম্যাচে করেছেন মোট ৬৫০ গোল। ব্রাজিলের জার্সিতে এই সংখ্যাটা ৯২ ম্যাচে ৭৭।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: