প্রকাশিত:
৬ অক্টোবার ২০২৩, ২০:০২
কালো সানগ্লাসে চোখ ঢেকে আসায় তাঁর দৃষ্টির ভাষা পড়া সম্ভব ছিল না। তবে মুখের ভাষায় ফুটে উঠলো চরম বিরক্তিই। চন্দিকা হাতুরাসিংহের এমন প্রতিক্রিয়াই অবশ্য প্রত্যাশিত ছিল।
আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ তামিম ইকবালকে নিয়ে প্রশ্ন শুনতে চাইবেন কোন দুঃখে! না চাইলেও তামিম ঠিক এসে গেলেন।
এসে যাওয়ারই কথা। এই ওপেনারের বিশ্বকাপ দলে না থাকার পরিস্থিতি তৈরি করার পেছনে যে বা যাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হয়, তাঁদের অন্যতম হাতুরাসিংহেই।
যদিও তামিমকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি না খেলার কিংবা খেললেও ব্যাটিং অর্ডারে নীচে নেমে যাওয়ার প্রস্তাব তিনি দেননি। এখানে মাধ্যম ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
তবে এটিও এখন গোপন কোনো বিষয় নয় যে আফগান বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ফজল হক ফারুকি এবং স্পিনার মুজিব-উর রহমানকে খেলতে তামিমের সমস্যা নিয়ে কাঁরা কাঁরা সবচেয়ে বেশি সোচ্চার থাকতে পারেন।
আগেরবার বাংলাদেশের কোচ থাকাকালীনও পরিসংখ্যানের নানা খুঁটিনাটি বের করে অনেক খেলোয়াড়ের জীবনই কঠিন করে তুলেছিলেন এই শ্রীলঙ্কান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের খেলা সর্বশেষ ৪ ওয়ানডেতেই তামিম শিকার হয়েছিলেন ফারুকির। ওই ম্যাচগুলোতে আফগান ফাস্ট বোলারের ৪৮ বল খেলে রানও তেমন তুলতে পারেননি বাংলাদেশের ওপেনার।
ডট দেন ৩৮টি বল! সুবাদে আড়ালে শুরু হয় বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তামিমকে না খেলানোর কৌশলের চর্চা। খেলালেও ব্যাটিং অর্ডারে পিছিয়ে দেওয়ার আলোচনাকে ‘নোংরামি’ বলে মনে হওয়ায় তামিম বোর্ড সভাপতিকে জানিয়ে দেন তিনি বিশ্বকাপ দলে থাকতে চান না। তাঁকে রাখাও হয়নি শেষপর্যন্ত।
দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচকরা ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট’-এর কথা বললেও পরে ভিডিও বার্তায় তামিম স্পষ্ট করে দেন তাঁকে নিয়ে ঘটনাপ্রবাহ। তামিম মুখ খোলেন বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়ে আসার পর।
দল ঘোষণার পরদিনই ভারতে চলে আসা দলের কোচ-অধিনায়কের আনুষ্ঠানিক কোনো সংবাদ সম্মেলনও হয়নি। তামিমকে নিয়ে তাঁদের কোনো প্রশ্নও তাই করার সুযোগ হয়নি সংবাদমাধ্যমের। আজ সেই সুযোগটি যখন এলো, তখন অপ্রস্তুত হাতুরাসিংহে বিষয়টি খুব ভালোভাবে নিলেনও না।
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘এটি নিশ্চয়ই স্বস্তির যে তামিম ইকবাল না থাকায় এবার ফজল হক ফারুকিকে সামলাতে (বাংলাদেশের) বেগ পেতে হবে না?’ নড়েচড়ে বসা হাতুরাসিংহে জবাব দিলেন এভাবে, ‘খুবই অদ্ভুত একটি প্রশ্ন করলেন। আপনি এমন একজনকে নিয়ে জানতে চাইলেন, যে কিনা এখানে নেই। আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে এখানে স্বস্তির কী আছে?’ জবাবেই প্রকাশিত হাতুরাসিংহের অস্বস্তিও!
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: