প্রকাশিত:
২৯ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২২:৩৭
বিশ্বকাপ কিংবা আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্ট সামনে এলেই শুরু হয় ফেভারিট নিয়ে ঘাটাঘাটি। সেই তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকা প্রায়ই জায়গা পেলেও টুর্নামেন্ট আর জেতা হয় না তাদের। বারবার বড় আসরের ব্যর্থতার ফলে তাদের নামই হয়ে গেছে ‘চোকার্স’। এবারও বিশ্বকাপে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দল নিয়েও বেশ উচ্ছাকাঙ্ক্ষী দলের পেস আক্রমণের নেতা কাগিসো রাবাদা। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার বিশ্বকাপ জিততে চান তিনি।
সম্প্রতি আইসিসির সাথে আলাপকালে রাবাদা জানান, ‘দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে আমাদের মধ্যে একটা জিনিসের অভাব ছিল না তা হল বিশ্বাস, তাই যেকোনো টুর্নামেন্টে গেলে আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা এটা জিততে পারব। আমাদের দলে এটি (বিশ্বকাপ জেতা) করার মত সক্ষম ক্রিকেটার আছে, তাই আশা করি এবার আমরা আমাদের প্রথম ফাইনাল খেলতে পারব এবং এই টুর্নামেন্টটি জিততে পারব। এটি কঠিন হতে চলেছে তবে এটি সত্যিই উপভোগ্যও হতে চলেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘বিশ্বের সেরা ক্রিকেটাররা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বিষয়টি দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ এবং আমরা এই চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। ২০১৯ বিশ্বকাপ ছিল আমার প্রথম এবং সেবার আমি মোটেও সফল ছিলাম না। আমি সেখান থেকে যে শিক্ষাটি নিয়েছি তা হল দলীয় ঐক্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ব্যক্তি একা বিশ্বকাপ জিততে পারে না, দল পারে।’
সময়ের সাথে সাথে নিজের দায়িত্বটা বুঝেছেন বলেও জানিয়েছেন রাবাদা। তার মতে, ‘আমি যত বড় হয়েছি এবং যত বেশি ম্যাচ খেলেছি, ততই আমি বুঝতে পারি যে আমি দলের মধ্যে একজন নেতা। আমার নিজের শক্তিগুলো জানার মাধ্যমে এবং সেগুলোকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে, কীভাবে আমি সঠিক হতে পারি তা জানার মাধ্যমে এবং অন্যান্য ক্রিকেটারদের সাহায্য করার মাধ্যমে, আমরা কীভাবে একটি দল হিসেবে খেলব তা নির্ধারণ করতে আমি (সবাইকে) সাহায্য করতে চাই।’
আইপিএলের সুবাদে আগেও বেশ কয়েকবার ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে রাবাদার। কেবল রাবাদা নয়, ডেভিড মিলার, কুইন্টন ডি ককরা আইপিএলের নিয়মিত মুখ। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলও ২০২২ সালের পর থেকে ১১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ভারতের মাটিতে। রাবাদা নিজে খেলেছেন ২৭ ম্যাচ। আগের এসব অভিজ্ঞতার ফায়দা এবার বিশ্বকাপে লুটতে চান প্রোটিয়া পেসার।
রাবাদা বলেন, ‘এটি (আগে খেলার অভিজ্ঞতা) সাহায্য করে যখন আপনি বিভিন্ন মাঠের অবস্থা বুঝতে পারেন এবং এত বছর ধরে ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা আপনাকে আপনার খেলার কৌশল কী হতে পারে সে সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়। আমাদের দলের বেশিরভাগই ভারতে খেলেছে, কিন্তু যারা বেশি খেলেননি, তাদের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে আপনি কিছুটা শুষ্ক অবস্থা পাবেন এবং সেখানে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট থাকবে। ফলে এখানে সফল হওয়ার উপায় (আপনাকে) খুঁজে বের করে নিতে হবে।’
রাবাদার মতে, ‘চিৎকার-চেঁচামেচি এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি মনে করি এখানে বিষয়টি হচ্ছে কেবল খেলায় মনোযোগ দেওয়া এবং ভিড়কে আপনার কাছে আসতে না দেওয়া। তবে একই সাথে, হাজার হাজার ভক্তের চিৎকারের সাথে পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামে খেলাটাও উত্তেজনাপূর্ণ - এটি সম্মানের।’
আগামী ৭ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর ২৯ সেপ্টেম্বর এবং ২ অক্টোবর আফগানিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে প্রোটিয়ারা।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: