প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ১১:১৭
প্রিমিয়ার লিগে বিবর্ণ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখককে তাদের মাঠে গিয়ে হারিয়ে দেবে-এমন স্বপ্ন হয়তো দলটির সব ভক্তও দেখার সাহস করেননি।
সেটি অবশ্য হয়ওনি। ফেভারিট বায়ার্নই হেসেছে শেষ হাসি। তবে বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জার্মান জায়ান্টদের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়েছে এরিক টেন হেগের দল। অল্পের জন্য হারলেও রেড ডেভিলসরা ম্যাচে টিকে ছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। তবে গোলরক্ষকের একাধিক দৃষ্টিকটু ভুলে শেষ পর্যন্ত জমজমাট ম্যাচটি ৪-৩ ব্যবধানে হারে ইউনাইটেড।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে গোল হজম না করা ইউনাইটেড পরের ২৭ মিনিটেই হজম করে তিন গোল। পরে আরও একটি। এর আগে-পরে মিলিয়ে তিন গোল করলেও শেষ পর্যন্ত ৪-৩ ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ইউনাইটেডকে। ১ গোল ব্যবধানের যে হারে ওনানার শিশুতোষ ভুলে হজম করা প্রথম গোলটিই হতে পারে টেন হাগের দলের আক্ষেপের কারণ।
২৮ মিনিটে বায়ার্ন এগিয়ে যায় ইউনাইটেড গোলরক্ষক ওনানার দুর্বলতায়। কেইনের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন সানে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ওনানা বলের নাগালও পান, কিন্তু ক্যামেরুনিয়ান গোলরক্ষক তা নিয়ন্ত্রণে নিতে তো পারেনইনি, হাত ফসকে বল জালেই পাঠিয়ে দেন।
বায়ার্ন চার মিনিট বাদে দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যায়। বল নিয়ে বক্সে ঢোকা জামাল মুসিয়ালা ডিফেন্ডারদের ঘেরাওয়ে পড়লে বাড়ান গিনাব্রির দিকে। অরক্ষিত জার্মান ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।
৫৩ মিনিটে কেইন আর ৯২ মিনিটে ম্যাথিস তেল বায়ার্নের পক্ষে আরও দুইবার বল জালে পাঠান। এরিকসেনের হ্যান্ডবলের সূত্রে পাওয়া পেনাল্টিতে বায়ার্নের হয়ে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন কেইন।
ইউনাইটেডের তিনটি গোলই এসেছে পিছিয়ে থাকাবস্থায়। প্রথমটি ৪৯ মিনিটে হয়লুন্দের কাছ থেকে। অন্য দুটি গোল কাসেমিরোর, একটি ৮৮ মিনিটে, আরেকটি যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে। সূত্র: দেশ রূপান্তর
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: