[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ ১৪৩১

অক্টোবরে ৭৫তম ফ্রাংকফোর্ট বিশ্ব বইমেলা

নাগরিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
৮ আগষ্ট ২০২৩, ২২:২৪

ছবি: সংগৃহীত

মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কারক ইয়োহানেস (জোহানেস) গুটেনবার্গের জন্মস্থান জার্মানির মাইনস শহরের পাশেই বাণিজ্যিক নগরী ফ্রাংকফোর্টে সোনালি শরতে শুরু হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বইমেলা। জার্মান পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি ৭৫তম বারের এ মেলার আয়োজক। মেলা আগামী ১৮ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।

কবি, লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক, প্রকাশক, বিক্রেতাসহ লাখো বইপাগল মানুষের মিলনমেলা হবে মেলা প্রাঙ্গণ। জার্মান সংস্কৃতিমন্ত্রী মিসেস ক্লাউডিয়া রোথের মেলা উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। মেলার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিবছর একটি দেশকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আর এবারের সেই অতিথি দেশ স্লোভানিয়া। উদ্বোধনীতে থাকবেন দেশটির সরকারপ্রধান বা প্রেসিডেন্ট সুজানা কাপুতোভা। বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ৯ মিলিয়ন ইউরো সাহায্য দেওয়া হবে মেলায়।

পৃথিবীর শত দেশের হাজারও প্রকাশকদের সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি স্টল। বাংলাদেশের প্রকাশনাশিল্পের অন্যতম ওসমান গনির আগামী প্রকাশনাসহ আরও প্রকাশক আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ মেলায় কোনো বই বিক্রি হয় না, হয় শুধু বাণিজ্যিক সভা, সেমিনার ও প্রদর্শনী। মেলার শেষ দিনে পুরোনো বই বাইরে বিক্রি হয়। তাই এখানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ছাড়াও আসা উচিত প্রকাশকদের। তাঁরা পেতে পারেন বিভিন্ন দেশের অনেক নামীদামি প্রকাশকদের সাবকন্ট্রাক্ট, যেহেতু বাংলাদেশে শ্রমের মূল্য কম, বাংলাদেশের প্রকাশনাশিল্প হতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন পথ। বাংলাবাজার কিংবা অমর একুশে বইমেলায় সীমাবদ্ধ না থেকে আসা উচিত এই বইমেলায়। অন্যদিকে মেলার আয়োজকেরা প্রতিবছর তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের নতুন ও নারী প্রকাশকদের মেলায় আসা–যাওয়ার সব খরচ বহন করে। নতুন প্রকাশকেরা সুযোগটিও নিতে পারেন। যাঁরা অনুবাদ করতে চান, তাঁদের জন্যও রয়েছে মেলার আয়োজকদের পক্ষ থেকে আর্থিক সুবিধাসহ পরামর্শ।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর