[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ ১৪৩১

ওহে রমণী

হাদিয়া তুল কুবরা

প্রকাশিত:
১২ আগষ্ট ২০২৩, ০২:৪৮

হাদিয়া তুল কুবরা

ওহে রমণী...
আমি ভাবিনি।
এত বড় হৃদয়
রাখো তুমি কোথায়!
উপকার করার আগে,
বলতো যদি সে, বেলার কোনো এক ভাগে,
বিশ্বাস করো,
যেতাম না সূর্যোদয় দেখতে নদীর তীরে।
সূর্যোদয় দেখার আশায় করেছি যখন ভূল,
জানিনা কী করে মেটাবো সে ভুলের মাশুল।


বিশ্বাস করো ওহে রমনী,
আমি তোমার কোমলমতি বরণে আঘাত দিতে চাইনি,
নাতো কখনো করেছি অস্বীকার,
যা করেছো তুমি আমার উপকার!
তোমার তুলনায় আমার অতি ক্ষুদ্র এ হৃদয়,
ক্ষমা করে দিও ওহে রমনী যদি কখনো ক্ষমা করা যায়।
জীবনের উত্থান পতনে,
ছিল তবু আমার মনে,
তুমি ছিলে অতি মহান আমার জীবনে।


ভাবিনি কখনো,
শুধু ছিলে নাকি বন্ধু আমার প্রয়োজনে,
প্রয়োজনে যখন তুমি ছিলে, মোরে ভৃত্য মেনো তবে,
মালিক হয়ে আদেশ দিও পাওনা মিটিয়ে দেবে।
মালিক ভৃত্যে অনেক তফাৎ, মাঝে বহু দূরত্ব,
সমানে সমানে হয় বন্ধুত্ব জানতনা এই ভৃত্য।
কাজ মিটে গেলে মুক্তি দিও মোরে,
ছেড়ে দিও কাজ থেকে ভৃত্যরে চিরতরে।


তুমি সেই একমাত্র রমনী,
যার কাছে আমি অনেক অনেক ঋণী,
ভালোবেসে চেয়েছিলাম বন্ধু হিসেবে রাখতে,
শুধুই প্রয়োজন ছিলে যদি একবার বলে দিতে।
তবে আমি ধরা দিতাম না তোমার হাতে,
আমি মুক্ত হতে চাই ভৃত্যের পদ থেকে।

ওহে বন্ধুগণ...
করি আহ্বান,
যদি মন চায় তবেই করো উপকার,
প্রতিদানে শুধু পাবে প্রাণ ভরা ভালোবাসা আমার।
যদি বলো কখনো ছিলে প্রয়োজনে প্রিয়জন,
তবে দূরে থেকো, জেনে রেখো ভৃত্য হতে পারবনা once again...
কারণ তুমি মালিক শ্রেণি বোঝো না অভিমান,
বড় ভূল হয়ে গেছে ওহে রমনী ক্ষমা করো অতি মহান।
_

 

লেখক,
হাদিয়া তুল কুবরা
প্রাণীবিজ্ঞান বিজ্ঞান, প্রথম বর্ষ
রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রি কলেজ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর