[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

আমরা জবাব দেবো এবং সেটাই চূড়ান্ত: হিজবুল্লাহ মহাসচিব

মর্নিং টাইমস ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩ আগষ্ট ২০২৪, ১৬:২৭

ছবি : সংগৃহীত

লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যার পর যুদ্ধ নতুন অধ্যায় পৌঁছেছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) ফুয়াদ শুকুরের জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে দেয়া ভাষণে একথা বলেন হিজবুল্লাহ মহাসচিব। তিনি বলেন, এসব গুপ্তহত্যার মধ্যদিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল সমস্ত রেড লাইন অতিক্রম করেছে এবং তাদেরকে অবশ্যই গাজার সমর্থক সমস্ত ফ্রন্ট থেকে প্রতিশোধের মুখে পড়তে হবে।

হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, “বেশ কয়েকটি দেশ থেকে হিজবুল্লাহকে গুপ্তহত্যার প্রতিশোধ না নিতে কিংবা সামান্য মাত্রায় হামলা চালাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে কিন্তু জবাব না দেয়া হিজবুল্লাহর জন্য অসম্ভব ব্যাপার।”

ইহুদিবাদী ইসরাইলকে লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ মহাসচিব স্পষ্টভাবে বলেন, “এই বিষয়ে কোনো আলোচনা নেই। আমাদের ও তোমাদের মধ্যে যে বিষয়টি আছে সেটি হচ্ছে কয়েকটি দিন, কয়েকটি রাত এবং যুদ্ধক্ষেত্র।”

সাইয়েদ হাসান নাসারুল্লাহ বলেন, “আমি বলছি না যে, উপযুক্ত সময় ও স্থানে এই গুপ্তহত্যার যথাযথ জবাব দেয়ার অধিকার আমাদের আছে। আমি অবশ্যই তা বলছি না, আমি বলছি- আমরা জবাব দেবো এবং সেটাই চূড়ান্ত।”

হিজবুল্লাহ মহাসচিব আবারো বলেন, গত শনিবার অধিকৃত গোলান মালভূমির দ্রুজ অধিবাসী অধ্যুষিত মাজদাল শামস শহরে রকেট হামলায় ১২ শিশু নিহতের ঘটনার সাথে হিজবুল্লাহ কোনোভাবেই জড়িত নয়। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ যদি কোনো ভুল করত এবং বেসামরিক নাগরিক হত্যা করত তাহলে সেই ভুল হিজবুল্লাহ স্বীকার করত। এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে।

তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ কমান্ডারদের হত্যার অজুহাত দাঁড় করাতে ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে মাজদাল শামস শহরে হামলা চালিয়েছে। এই হামলার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে সেখানকার শিয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে দ্রুজ সম্প্রদায়কে ক্ষেপিয়ে তোলা।

হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পর যখন ইহুদিবাদী ইসরাইল দেখেছে যে, নিহতদের বেশিরভাগই শিশু তখন দ্রুত গতিতে এই হামলার দায় হিজবুল্লাহর কাঁধে চাপানোর চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, "আমাদের কাছে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে যা থেকে পরিষ্কার হয় যে, ইসরাইলি সিস্টেম থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায়ই আকর শহর এবং অধিকৃত এলাকার অন্যান্য অঞ্চলে আঘাত করেছে।"

হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, “অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন দেয়ার কারণে হিজবুল্লাহকে চড়ামূল্য দিতে হচ্ছে। তবে এটা নতুন কিছু নয়, আমরা এই মূল্যকে বরণ করে নিয়েছি।”


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর