[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

হানিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দোহায় মানুষের ঢল

মর্নিং টাইমস ডেস্ক

প্রকাশিত:
২ আগষ্ট ২০২৪, ২১:৪৮

ছবি : সংগৃহীত

কাতারের দোহার ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে আবদ আল-ওয়াহাব মসজিদে হামাসের ইসমাইল হানিয়ার দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জুম্মার (শুক্রবার) নামাজের পরই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এখন হামাসের সাবেক রাজনৈতিক প্রধানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

হাজার হাজার মানুষ হানিয়ার জানাজায় অংশ নিয়েছেন। মসজিদের সামনে শ্রদ্ধা শেষে তাকে দোহার উত্তরে লুসাইল রাজকীয় কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই সমাধিস্ত করা হবে।

হানিয়ার জানাজা ঘিরে দোহায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে বিশেষ করে মুসলিম প্রধান দেশগুলো থেকে কয়েক ডজন রাষ্ট্রীয় অতিথি উপস্থিত হয়েছেন।

এছাড়া ফাতাহ ও ইসলামিক জিহাদসহ ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারাও উপস্থিত হয়েছেন। শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে হানিয়ার পরিবারও।

গত বুধবার (৩১ জুলাই) ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়াকে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ইমামতিতে, ইসমাইল হানিয়ার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয় তেহরানে।

হামাস নেতার জানাজা ও শেষ বিদায়কে কেন্দ্র করে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঢল নামে লাখো মানুষের। জানাজা শেষে মরদেহ আজাদি স্কয়ারে নিয়ে গেলে হানিয়ার কফিনের সঙ্গী হন দেশটির হাজার হাজার মানুষ।

শুক্রবার (২ আগস্ট) ইসমাইল হানিয়ার লাশ কাতারে আনা হয়। প্রচণ্ড তাপমাত্রা উপেক্ষা করে হামাসের প্রয়াত রাজনৈতিক নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে দোহার ইমাম আবদুল ওয়াহাব মসজিদে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। জুমার নামাজের পর তারা হানিয়ার জানাজায় অংশ নেন।

এরপর হানিয়ার প্রতি শেষশ্রদ্ধার পাশাপাশি তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। মসজিদের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানোদের অন্যতম ২৮বছর বয়সি অডিওলজিস্ট নাদিন রামাদান বলছিলেন,
তিনি (হানিয়া) মারা গেছেন। এর মানে এই নয় যে সব মারা গেছে।

রমজান বলেন, ‘ফিলিস্তিনি নারীরা তার চেয়ে আরও ভালো পুরুষকে গড়ে তুলছে এবং আমরা এখানেই থাকব এবং লড়াই করব। কয়েক ধাপ পেছনে ২৩ বছর বয়সি আয়েশা বলেন, গাজায় আটকে পড়াদের জন্য সমর্থন প্রদর্শন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। হানিয়া ছিলেন বহু মানুষের আশার আলো।

তিনি আরও বলেন, ‘এবং তাই আমি মনে করি ফিলিস্তিনিদের সাথে আমাদের সংহতি প্রদর্শন করা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে আমরা তাদের পাশে এখানে আছি, এমনকি আমরা শারীরিকভাবে কিছু করতে না পারলেও, আমরা এখনও তাদের সাথে আছি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর