[email protected] শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ই পৌষ ১৪৩১

এখনও বিশ্বজুড়ে সপ্তাহে ১৭০০ প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে করোনা

মর্নি টাইমস ডেস্ক

প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২৪, ১২:২২

ছবি সংগৃহীত

২০২০ থেকে ২০২২; পুরো বিশ্ব কেঁপেছে করোনা মহামারি আতঙ্কে। স্থবির হয়ে পড়েছিল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, ভেঙে পড়েছিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দুই বছরে প্রাণ হারান ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ। মহামারির সেই দিনগুলোর ভয়াবহ স্মৃতি কাটিয়ে ফের এগিয়ে চলেছে বিশ্ব।

নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো স্বাভাবিক সতর্কতা এখন আর মানছেন না অনেকেই। এর মধ্যেই আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস। দ্রুত সংক্রমণশীল এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহে এখনও বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন প্রায় ১৭০০ মানুষ।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এখনও সারা বিশ্বে সপ্তাহে প্রায় ১৭০০ জনের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আর এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে আবারও এই ভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে ক্রমাগত মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আসা সত্ত্বেও ‘তথ্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ভ্যাকসিনের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তারাও রয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদেরকে তাদের শেষ ডোজ নেওয়ার ১২ মাসের মধ্যে আবারও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে সুপারিশ করছে ডব্লিউএইচও।’

একইসঙ্গে ভাইরাস নজরদারি এবং সিকোয়েন্সিং বজায় রাখতে সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা ও সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত হুনান সি-ফুড মার্কেটে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারিতে মারা গেছেন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ। যদিও এই মহামারিতে প্রাণ হারানো মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। মানুষের প্রাণ কাড়ার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতিকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে, পঙ্গু করে দিয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে।

ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার তিন বছরেরও বেশি সময় পরে ২০২৩ সালের মে মাসে করোনাভাইরাস মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।

পরে একই মাসে ডব্লিউএইচও প্রধান অবশ্য বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও তা বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের স্বাস্থ্য হুমকির সমাপ্তি নয়। বিশ্বে করোনাভাইরাসের আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি এখনও রয়ে গেছে, যা নতুন করে এই রোগ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে পারে। এছাড়া নতুন করে আরও রোগজীবাণু উদ্ভূত হওয়ার মারাত্মক হুমকি এখনও রয়ে গেছে।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর