[email protected] রবিবার, ১২ই জানুয়ারী ২০২৫, ২৮শে পৌষ ১৪৩১

ইরানের হামলার জবাব যেভাবে দিতে পারে ইসরায়েল!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১১

ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। প্রতিশোধ নিতে ইসলায়েলও পাল্টা হামলা চালাতে পারে, বিশেষজ্ঞদের এমন আশঙ্কার মধ্যেই ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত জানান, ইসরায়েলে হামলায় ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে। তবে, কিভীবে ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল? এমন প্রশ্ন সবার মনে।

বিবিসি এক প্রতিবেদেন জানায়, প্রথমত ইসরায়েল হয়তো প্রতিবেশী দেশগুলোর কথামত কৌশলগত ধৈর্য ধরতে পারে। অর্থাৎ ইরানে পাল্টা হামলা না করে হিজবুল্লাহর মতো ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে। যদিও বহু বছর ধরে ইসরায়েল এ ধরনের হামলা চালিয়ে আসছে। দ্বিতীয়ত, ইরান যে ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলও দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা একই ধরনের হামলা চালাতে পারে। তবে এতে ইরানের পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। এ ছাড়া ইরান যেভাবে হামলা চালিয়েছে তার চেয়ে অনেক শক্তিশালী পাল্টা হামলা চালালে পারে ইসরায়েল। সেক্ষেত্রে তারা ইরানের অত্যন্ত শক্তিশালী রিভোলিউশনারি গার্ডসের ঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির ও কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারগুলোকেও আক্রমণের নিশানা করতে পারে।

এদিকে, ইসরায়েলে হামলার পর ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন বাঘেরি বলেছেন, আমাদের অপারেশন আপাতত শেষ হয়েছে। এই অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে, ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে রাতভর বোমাবর্ষণের চেয়েও বড় পরিসরে হামলা চালানো হবে ইরানের প্রতিক্রিয়া। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর