প্রকাশিত:
৯ ডিসেম্বার ২০২৩, ১২:৩১
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশ্বের মোট ১৩টি দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর ভিসা ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ট্রেজারি) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। সেই দিবসকে সামনে রেখে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্রিটেন এবং কানাডার সঙ্গে যৌথভাবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর ১৩টি দেশের ৩৭ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ১৩টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, হাইতি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাইবেরিয়া, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সুদান, সিরিয়া, উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ে। এই পদক্ষেপ ব্রিটেন ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের কুদস ফোর্স কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে এজেন্ট নিয়োগ দানের অভিযোগে দুজন ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা ওপর শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় সোলেইমানি নিহত হলে তার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিল ইরান। তিনি তেহরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার ও মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের কারিগর ছিলেন।
আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েদের ওপর নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ক্ষমতাসীন সরকারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে সরকারের দুজন মন্ত্রীও রয়েছেন। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল জিনজিয়াংয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মধ্যম পর্যায়ের দুজন চীনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা পরিচালনা করছে চীন।
প্রসঙ্গত, গত এক বছরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৫০-এর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনে জড়িত থাকলে মার্কিন নাগরিকরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।
নিষেধাজ্ঞা জারির পর এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মানবাধিকারের স্বীকৃতি ও রক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতিগুলোর একটি। আমরা সবসময় মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কখনও এর অন্যথা হবে না।
মন্তব্য করুন: