প্রকাশিত:
৪ ডিসেম্বার ২০২৩, ১২:৫৭
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত ২ ডিসেম্বর বিকেল থেকে শুরু করে ৩ ডিসেম্বর বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রায় ৩১৬ জন নিহত এবং আরো ৬৬৪ জন আহত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর মিসর থেকে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো প্রবেশ করেছিল, যদিও ট্রাকের সংখ্যা অস্পষ্ট ছিল।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ইউএনওসিএইচএ) ফিলিস্তিনি সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সর্বশেষ ইউএনওসিএইচএ প্রতিবেদন অনুযায়ী
► দক্ষিণ গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সংক্রামক রোগ যেমন ডায়রিয়া, তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ এবং চুলে উকুন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
► গাজাজুড়ে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা যুদ্ধের আগে তিন হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৪০০-এ নেমে এসেছে। আহত এবং অসুস্থ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
► বর্তমানে গাজায় শুধুমাত্র একটি হাসপাতালের সচল রয়েছে। যেটি জটিল অস্ত্রোপচার চালাচ্ছে।
গাজা যুদ্ধের পরিস্থিতি
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ গাজায় তাদের স্থল আক্রমণকে প্রসারিত করেছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গাজার খান ইউনিস লক্ষ্য করে তীব্র বোমা হামলা চলাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তারা অবরুদ্ধ ছিটমহলের দক্ষিণ অংশেও সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের ঘোষণা করেছে। তবে আজ সকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হামালায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গাজা শহরের নিকটবর্তী, উত্তরে আল-শুজাইয়া এবং আল-তুফাহ এলাকার আশেপাশের এলাকাগুলিতেও ইসরায়েলি অভিযান এবং বোমা হামলাল খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে আলজাজিরা গত কয়েক ঘণ্টায় খান ইউনিসের পূর্ব দিকেও তীব্র বোমা হামলার কথা জানিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, খান ইউনিসের দক্ষিণে তাদের অভিযানের কেন্দ্র হবে আগামী দিনে।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: