প্রকাশিত:
২৮ নভেম্বার ২০২৩, ১০:২৮
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়িয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। সাময়িক যুদ্ধবিরতি বাড়ার মধ্যে সোমবার রাতে গাজা উপত্যকা থেকে তিন বছর বয়সী যমজ শিশুসহ আরও ১১ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েল বলেছে, এ নিয়ে হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেলেন অর্ধশতাধিক জিম্মি।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রস বলেছে, গাজা থেকে মুক্তি পাওয়া ১১ জিম্মিকে তারা সফলভাবে স্থানান্তর করেছে। এদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরে চতুর্থ ধাপের বন্দি বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩০ শিশু ও তিনজন নারীসহ ৩৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।
দুই দিন যুদ্ধবিরতি বাড়ানোতে আজ মঙ্গল ও আগামীকাল বুধবার গাজায় হামলা চালাবে না ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া এ দুই দিনে নিজেদের মধ্যে আরও জিম্মি ও বন্দিবিনিময়ে রাজি হয়েছে দুই পক্ষ।
গত বুধবার কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। পরে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হয় গতকাল সোমবার। চার দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কাতার জানায়, ইসরায়েল ও হামাস দুই দিনের মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে হামাস আরও ২০ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। খাদ্য, জ্বালানী ও ওষুধ নিয়ে মানবিক সরবরাহের আরও লরি সোমবার গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।
গাজায় প্রথম দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল ওই চার দিনে ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে হামাসের মুক্তি। অপরদিকে ১৫০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে ছাড়ার কথা ছিল ইসরায়েলের।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা চালানোর খবর এসেছে। হামলা হয়েছে গাজার হাসপাতালেও।
সোমবার ফিলিস্তিনের সরকারি তথ্য দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ জন শিশু এবং ৪ হাজার নারী রয়েছেন। গাজায় এখনো প্রায় ৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ জনের বেশি।
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে। হামাসের হাতে ইসরায়েলের ২৪০ জন জিম্মি হয়।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: