প্রকাশিত:
২৩ নভেম্বার ২০২৩, ১০:৩৯
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। হামাস এবং ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তারা চুক্তির বাস্তবায়ন শুরুর সময় নিশ্চিত করেছেন বলে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বুধবার নিশ্চিত করবে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসা ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সরাসরি এই চুক্তির অংশ না হলেও যুদ্ধবিরতি চলাকালে তারা কী করবে সেই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে।
হিজবুল্লাহর এক সূত্রের বরাত দিয়ে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে অংশ নেবে লেবাননের এই সশস্ত্রগোষ্ঠী। যদিও ইসরায়েল এবং হামাসের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হিজবুল্লাহর বিষয়ে কোনো শর্ত নেই।
ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীর একাধিক সূত্র বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি মেনে চললে দক্ষিণ লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা চালানো বন্ধ করবে। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির কোনো শর্ত লঙ্ঘন করা হলে হিজবুল্লাহ তার শক্ত জবাব দেবে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে হিজবুল্লাহ। তখন থেকে প্রত্যেক দিনই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে সামরিক বাহিনীর চৌকি, সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক স্থাপনা এবং বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে এই গোষ্ঠী।
সীমান্তে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত গত কয়েক দিনে তীব্র আকার ধারণ করেছে। উভয়পক্ষের মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলা-পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৭৯ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: