[email protected] শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪, ১৭ই কার্তিক ১৪৩১

ইসরায়েলে হাজার মানুষের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৯ নভেম্বার ২০২৩, ১০:৪৩

গাজায় হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে

গাজায় হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে শনিবার ইসরায়েলের হাজার হাজার মানুষ জেরুজালেমে পদযাত্রা করেছেন।

পাঁচদিন আগে শুরু করা জিম্মিদের স্বজন ও তাদের সমর্থকদের এই পদযাত্রা শনিবার জেরুজালেমে পৌঁছেছে। সেখানে জিম্মিদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে নেতানিয়াহু সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন তারা। খবর বিবিসি।

জেরুজালেম বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নোয়াম অ্যালন নামের এক যুবক বলেন, তেল আবিব-জেরুজালেম মহাসড়কে বিক্ষোভে যোগ দেওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে ইসরায়েলি সরকারের ওপর চাপ তৈরির লক্ষ্যে এই বিক্ষোভ করছেন তারা। গত ৭৮ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে ঢুকে যে ২৪০ জনের বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে জিম্মি করেছেন, তাদের মধ্যে নোয়ামের প্রেমিকাও রয়েছেন।

এই যুবক বলেন, আমরা আশা করছি তারা আমাদের সাথে দেখা করবে। আমরা আশা করছি, কীভাবে জিম্মিদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা হবে, সেই বিষয়ে তারা আমাদের জানাবেন। তিনি বলেন, আমরা আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আমরা যেকোনো মূল্যে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই। তাদের এই মুহূর্তে উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।

জিম্মিদের স্বজন ও বন্ধুদের অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজায় হামাসকে ধ্বংস করতে ইসরায়েল হামলা চালানোর যে পরিকল্পনা করেছে, তাতে জিম্মিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে ইসরায়েলের সরকার বলছে, গাজায় চলমান স্থল হামলা জিম্মিদের উদ্ধারের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলবে। সম্ভাব্য বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্ত করার পথ তৈরি হবে।

কিন্তু হামাসের হামলায় ইসরায়েলের সরকার অন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। জেরুজালেমে অভিমুখে শুরু করা পদযাত্রায় যোগ দিয়েছেন ইসরায়েলের মধ্যপন্থী বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অন্যতম সমর্থক হলেও তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইয়োভাল হারান রয়টার্সকে বলেন, তার পরিবারের সাত সদস্যকে অপহরণের পর গাজায় নিয়ে জিম্মি করেছে হামাস। তাদের মধ্যে তার মা, বোন, ভগ্নিপতি এবং তাদের ৮ ও ৩ বছর বয়সী দুই সন্তান ও ১২ বছরের চাচাতো ভাই রয়েছে। 

তিনি বলেন, তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশুর আপনি কীভাবে মূল্য দেবেন? যেকোনো মূল্যে আমরা তাদের ফেরত চাই।

‘‘আমরা আজ জেরুজালেমে পদযাত্রা করছি। শত শত পরিবার এবং হাজার হাজার মানুষ জেরুজালেমে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন। আমাদের আর্তনাদ শুনুন, তাদের এখনই ফিরিয়ে আনুন। পুরো বিশ্ব আমাদের সাথে চিৎকার করছে— তাদের এই মুহূর্তে ফিরিয়ে আনুন।’’

গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের হাতে বন্দী কিছু ফিলিস্তিনির মুক্তির শর্তে কিছু জিম্মির সম্ভাব্য মুক্তির বিনিময়ে হামাস-ইসরায়েলের মাঝে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। হামাস এই চুক্তির শর্তে রাজি হলেও ইসরায়েল কোনো সাড়া দেয়নি।

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর