প্রকাশিত:
২৭ অক্টোবার ২০২৩, ২০:৪১
তিন সপ্তাহ ধরে চলছে হামাস ইসরাইল সংঘাত। এবার যুদ্ধবিরতি চায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এ সংগঠনটি। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। খবর আল-জাজিরার।
ইসরাইলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যেই রাশিয়া গেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের একটি প্রতিনিধিদল। এ প্রতিনিধিদলের সদস্য আবু হামিদ বলেছেন, বেসামরিক ইসরাইলি নাগরিকদের মুক্তি দিতে চায় হামাস। তবে এর জন্য অবশ্যই যুদ্ধবিরতি করতে হবে।
আবু হামিদ আরও জানান, গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় বন্দিদের মধ্যে ৫০ জন নিহত হয়েছে।
মস্কোর সাংবাদিক ইউলিয়া শাপোভালোভা বলেন, হামাস প্রতিনিধিদলের এ সফরকে মূলত রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি বার্তা প্রচারের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে যে, রাশিয়া এই ঘটনার বাইরে নেই। মস্কো দেখাতে চায় যে, একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে এখানেও রাশিয়া আছে, যারা হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার মাধ্যমে সংঘাতের মধ্যস্থতার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ান, ইরানি এবং হামাস কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক হামাসের হাতে বন্দি তিন রুশ পাসপোর্টধারীকে মুক্তি দেওয়ার পথ সুগম করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে, বন্দিদের মুক্ত করার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হামাস কোনো জবাব দেয়নি বলে জানিয়েছেন শাপোভালোভা।
এদিকে, হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড দাবি করেছে, তাদের কাছে বন্দি থাকা অন্তত ৫০ জন ইসরাইলি নিজ দেশেরই বোমা হামলায় মারা গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা বিবৃতিতে আল-কাসসাম ব্রিগেড বলে, ধারণা করা হচ্ছে, ইহুদিবাদী হামলা ও গণহত্যার ফলে গাজা উপত্যকায় নিহত ইহুদি বন্দির সংখ্যা প্রায় ৫০ ছুঁয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা করে হামাস। এতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে গাজা শহরে বোমাবর্ষণ করছে ইসরাইল। হামলায় ৭ হাজারের বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনির বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: