প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২৩:৫৯
ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী রুশ প্রতিষ্ঠান ভাগনারকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান ভাগনারকে ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তার হুমকি’ বলে উল্লেখ করে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রস্তাব করেন।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এর অনুমোদন দেয়। আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এ বাহিনীর সদস্য হওয়া, তাদের সমর্থন করা ও ভাগনারের পতাকা বা লোগো প্রদর্শন করা অপরাধ। খবর বিবিসির।
যুক্তরাজ্যে এখন আধা সামরিক বাহিনীটিকে সহযোগিতা করলে জরিমানা গুনতে হবে। এমনকি তাদের ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে।
গত সপ্তাহে ভাগনারকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রস্তাব দিয়ে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছিলেন, ভাগনার একটি সহিংস ও ধ্বংসাত্মক সংগঠন। এটি বিদেশে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার সামরিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভাগনার লুটপাট, নির্যাতন ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় এর কার্যক্রম বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই আমরা এই সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করছি এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে যেখানেই পারি সাহায্য করে যাচ্ছি।’
ক্রেমলিনের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ভাগনার গড়ে তুলেছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। গ্রুপটির সদস্যের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এদের অনেকেই রুশ নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক সদস্য।
ভাগনারপ্রধান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোজিনের।
গত জুনে তিনি রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বল্পস্থায়ী সশস্ত্র বিদ্রোহ করেছিলেন। ওই বিদ্রোহ পুতিনের ২৩ বছরের শাসনামলের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল।
পরে পুতিনের ঘনিষ্ঠ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় মস্কো অভিমুখে যাত্রা স্থগিত করেন প্রিগোজিন। এর মাত্র দুই মাস পরে গত ২৩ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ভাগনারপ্রধান।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: