[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ ১৪৩১

কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেলেন নোবেলজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ১৯:২৬

সংগৃহীত ছবি

ফিলিপাইনের নোবেলজয়ী সাংবাদিক ও নিউজ সাইট র‌্যাপলার-প্রধান মারিয়া রেসাকে কর ফাঁকির মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন সে দেশের একটি আদালত। এই মামলায় র‌্যাপলারকেও খালাস দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় রয়টার্স। রেসার মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়াকে ফিলিপাইনের বিপর্যস্ত সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আরেকটি আইনি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা এবং তার অনলাইন নিউজ ওয়েবসাইট র‌্যাপলারকে কর জালিয়াতির অভিযোগ থেকে খালাস দেন আদালত। রেসা ২০২১ সালে একজন রাশিয়ান সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভের সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন।

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে এবং তার 'মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের' বিষয়ে ব্যাপক তদন্তের জন্য খ্যাতি অর্জন করে র‌্যাপলার। মূলত মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর নামে দুতের্তে যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাতেন মারিয়া রেসা ছিলেন তার ঘোর বিরোধী।

মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর রেসা সাংবাদিকদের বলেন, তার বেকসুর খালাস ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে একটি ‘ভালো সংকেত’ পাঠাবে। এ ছাড়া আদালতের রায়ে ‘স্বস্তি’ বোধ করার কথাও জানান তিনি। রেসা বলেন, ‘খালাস পাওয়াটা বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়াবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই রায় এটিই প্রমাণ করে যে, আদালত ব্যবস্থা কাজ করে। আমরা আশা করি বাকি অভিযোগগুলোও খারিজ হয়ে যাবে।’

অবশ্য ৯ মাস আগে একই ধরনের ট্যাক্স চার্জ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এই মামলায় রেসার খালাস প্রত্যাশিতই ছিল। যদিও মারিয়া রেসা এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তার বেশ বড় মেয়াদের কারাদণ্ড হতে পারত। রায় ঘোষণার পর রেসা বলেন, ‘আজ সত্যের জয় হয়েছে, ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মারিয়া রেসা ও তার প্রতিষ্ঠান র‌্যাপলারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ আনে ফিলিপাইন সরকার। এতে বলা হয়, রেসা এবং তার প্রতিষ্ঠান র‍্যাপলার ২০১৫ সালে বিদেশি বিনিয়োগের রসিদ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই অভিযোগেই তার বিরুদ্ধে কর জালিয়াতির মামলা হয় এবং সেই মামলায় জামিনে ছিলেন রেসা। তবে রেসার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে এবং ২০২০ সালে একটি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্তও হয়েছিলেন। যদিও ওই মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছিলেন এই নোবেলজয়ী। সূত্র: দেশ রূপান্তর

বাংলা গেজেট/বিএম


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর