[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ ১৪৩১

সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষনে প্রাণ হারাল ৩২ জন বেসামরিক নাগরিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
৭ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২১:৫৫

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের এপ্রিলে উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সহিংসতা যেন নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবশেষ সুদানী সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষনে কমপক্ষে ৩২ জন বেসামরিক লোক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া এ হামলায় আহত হয়েছে কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক। দেশটিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও হামলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আল জাজিরা।

অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ইমার্জেন্সি লইয়ার্স এ হামলা এবং হতাহতের কথা জানায়। বুধবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, পশ্চিম ওমদুরমানের ওম্বাদা পাড়ায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ গোলাগুলি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

অধিকারকর্মী এবং বাসিন্দারা বলেন, দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া সুদানি সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) প্রায়শই জনবহুল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে থাকে। আর এই ধরনের হামলায় রাজধানী খার্তুমসহ অন্যান্য শহরে শত শত বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

তবে খার্তুম, ওমদুরমান এবং খার্তুমের উত্তরের শহরগুলোর বেশিরভাগ অংশই আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের দখলে থাকলেও সুদানের সেনাবাহিনীর কাছে ভারী কামান এবং শক্তিশালী বিমান বাহিনী রয়েছে।

এদিকে বুধবার রাতে সুদানের সামরিক শাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান আরএসএফকে বিলুপ্ত করার আদেশ দিয়ে একটি সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করেছেন বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন সার্বভৌম কাউন্সিল।

যদিও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি আরএসএফ-এর কাছ থেকে।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সুদানের সেনাবাহিনী ওমদুরমানে প্রচুর সংখ্যক স্থল সেনা মোতায়েন করে বলে সামরিক সূত্র জানিয়েছিল। মূলত দারফুর অঞ্চল থেকে রাজধানীতে আরএসএফ-এর প্রধান সরবরাহ রুটটি বন্ধ করার জন্য বড় অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

এদিকে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা জানিয়েছেন, গত রোববারও ওম্বাদাতে সেনা অভিযানে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। সূত্র: দেশ রূপান্তর

বাংলা গেজেট/বিএম


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর