প্রকাশিত:
১৩ আগষ্ট ২০২৩, ০১:১১
কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই নিয়ম করে বাজার যাওয়ার সময় পান না। অফিস ফেরত সময় থাকলে হয়তো টুকিটাকি কিছু কেনাকাটা করে থাকেন। তবে তা সব সময় সম্ভব হয় না। অগত্যা ছুটির দিন ছাড়া উপায় নেই। সপ্তাহান্তে বাজার গিয়ে সব জিনিস একেবারে কিনে আনলে নিশ্চিন্ত। তার পর সেগুলি থরে থরে ফ্রিজে সাজিয়ে রাখতে পারলেই কেল্লাফতে। প্রথম এক-দু’দিন ফ্রিজে রাখা খাবার স্বাভাবিক মনে হলেও বদল ঘটতে থাকে কিছু দিন পর থেকে। খাবারের স্বাদ বদলে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে গুণমানও। তবে সব খাবারের ক্ষেত্রে এমনটি হয় না। কয়েকটি খাবার ফ্রিজে রাখলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকে। এখানে কিছু সাধারণ খাবারের তালিকা রয়েছে, যা কখনো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
টমেটো : ঠাণ্ডা তাপমাত্রা টমেটোর স্বাদ নষ্ট করে। এগুলো স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঘরে সংরক্ষণ করে কয়েক দিনের মধ্যে ব্যবহার করা ভালো।
রসুন : পেঁয়াজের মতো রসুনও অঙ্কুরিত হতে পারে এবং ফ্রিজে রাখলে শক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই এগুলো শুষ্ক, শীতল জায়গায় রাখতে হয়।
কলা : রেফ্রিজারেট রাখলে কলার খোসা বাদামি হয়ে যায়। তবে ভেতরের ফল ভালো থাকে। যদি দাগহীন কলা পছন্দ করেন তবে ঘরের তাপমাত্রায় রাখা উচিত।
পেঁয়াজ : ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখলে ফ্রিজের ঠাণ্ডা তাপমাত্রা ও উচ্চ আর্দ্রতায় পেঁয়াজে থাকা সব গুণাবলী নষ্ট হয়ে যায়। বায়ু চলাচল করে এমন শীতল, শুষ্ক জায়গায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা ভালো।
মধু : মধু ফ্রিজে রাখলে শক্ত হয়ে যেতে পারে। এটি শুকনো জায়গায় বা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা সর্বোত্তম উপায়।
আলু : রেফ্রিজারেশন আলুতে থাকা শর্করা চিনিতে রূপান্তর করে। তাদের স্বাদ নষ্ট করে এবং গঠনকে প্রভাবিত করে। ফলে রান্না করার পর আলুর স্বাদ বদলে যেতে পারে। তাই আলু সব সময় ঠাণ্ডা, অন্ধকার জায়গায় সংরক্ষণ করা ভালো।
রুটি : রেফ্রিজারেটরে রুটি সংরক্ষণ করলে তা শুকিয়ে যায় এবং দ্রুত বাসি হয়ে যায়। তাই বাক্সে করে ঘরের তাপমাত্রায় রাখা ভালো। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: