প্রকাশিত:
২৭ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২৩:৩৪
শরীর ভাল রাখতে ফাইবার খাওয়া প্রয়োজন। তাই নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ সেদ্ধ খান। কোষ্ঠ পরিষ্কার করতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে কাজ করে এই সবজি। কিন্তু এই সবজি ধোয়া পানি দিয়ে যে চুলের পরিচর্যা করা যায়, তা জানতেন না নিশ্চয়ই? ঢ্যাঁড়শ কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে সেই পানি কিছুটা আঠালো হয়ে যায়। কেশচর্চা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পানির মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ থাকে, তা চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে পারে।
১. চুলের পুষ্টি: ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের পাশপাশি ভিটামিন এ, সি এবং কে রয়েছে ঢ্যাঁড়শে। এ সব উপাদান চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। তাই নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ ভেজানো পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে পারেন।
২. গোড়া মজবুত করে: ঢ্যাঁড়শের মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে সেই পানি দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ কমে। কারণ, চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এই পানি।
৩. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার: রাসায়নিক দেওয়া কন্ডিশনার মেখে রেশমের মতো চুল পেলেও মাথার ত্বকের কিন্তু ক্ষতি হতে পারে। বদলে যদি ঢ্যাঁড়শের আঠালো পানি দিয়ে চুল ধোয়া যায়, তাতে রুক্ষ্ম চুল বশে রাখা অনেক সহজ হয়।
৪. মাথার ত্বক ভাল রাখে: চুল ভাল রাখতে গেলে মাথার ত্বকের দিকে নজর দিতে হবে। মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্সের মাত্রা বজায় রাখা থেকে ত্বকের সংক্রমণ রোধ করা— সবেতেই দারুণ কার্যকর ঢ্যাঁড়শ ভেজানো পানি।
৫. কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে: ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন অর্থাৎ কোলাজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। ঢ্যাঁড়শে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি। এই সবজি কেটে পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে মাথা ধুলে তা কোলাজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে।
৬. রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে: মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে তবেই চুলের স্বাস্থ্য ভাল হবে। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে ঢ্যাঁড়শের পানি যথেষ্ট উপকারী।
৭. চুলের জেল্লা বজায় রাখে: নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ ভেজানো পানি দিয়ে মাথা ধুলে, চুলের হারানো জেল্লা ফিরে পেতে দোকান থেকে কেনা সিরাম নয়, ঢ্যাঁড়শের পানি ব্যবহার করতেই পারেন। সূত্র: আনন্দবাজার
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: