প্রকাশিত:
২৪ নভেম্বার ২০২৩, ২০:৪০
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি বাবা-মা ছাড়াই বড় হয়েছেন। অনেক ছোটবেলায় বাবা মা হারিয়ে এই তারকা নানাবাড়িতে মানুষ হন। তাকে ছায়ার মতো আগলে রাখের তার নানি আর নানা। একে একে সবাই তাকে ছেড়ে গেছে। ছিলেন শুধুমাত্র একজন অভিভাবক। তিনি হলেন পরীর শতবর্ষী নানা শামসুল হক গাজী।
অবশেষে বেশকিছু দিন হাসপাতালে অসুস্থ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ১১টা মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। বুঝতে কারও বাকী থাকার কথা না যে, বটবৃক্ষের মতো পরীর মাথায় ছায়া দিয়ে রাখা সেই নানার মৃত্যুতে কতোটা শোকার্ত পরীমণি। অনেকেই সান্তনা জানাচ্ছেন তাকে। এখন পরীর জীবনের একমাত্র অবলম্বন তার ছেলে রাজ্য।
পরীকে যারা ফলো করেন তারা জানেন, নানাকে ছাড়া পরীমণি থাকতেই পারেন না। কিছুদিন আগে নানা গ্রামে গিয়েছিলেন। তাতেই পোস্ট দিয়েছিলেন, কেন যে তুমি আমাকে রেখে দুরে থাকতে গেলে! তুমি আমার কাছে না থাকলে আমার ভালো থাকা সব নষ্ট হয়ে যায়।
অভিনেতা ও নির্মাতা কচি খন্দকার পরী মণিকে বলেন, তোমার প্রিয় নানার মৃত্যুতে শোক জানাবার ভাষা পাচ্ছি না। অসাধারণ সহজ সরল মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার বলেন, আমার দেখা জগতের অন্যতম শান্ত স্নিগ্ধ সরল মানুষটি পৃথিবীর মায়া এবং তোমার মায়া ত্যাগ করেছেন। তাঁর নিষ্কলুষ আত্মার চির শান্তি কামনা করছি। তার শীর্ন হাতটি ছিলো তোমার জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তি আজ হারিয়ে গেলেও তার স্মৃতি তোমাকে বাকী পুরো জীবন শক্তি যুগিয়ে যাবে। এটা আমি বিশ্বাস করি।
শামসুল হক বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন । এরপর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয় এবং সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ভোর চারটার দিকে গুলশানের আজাদ মসজিদে গোসল শেষে মরদেহ পরীমণির গ্রামের বাড়ি বরিশালের পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার নানীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: