প্রকাশিত:
২১ অক্টোবার ২০২৩, ২০:৪৯
চলমান হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের ১৩ দিন পর এ ইস্যু নিয়ে নিজের অবস্থানের কথা জানালেন বলিউডের সাবেক অভিনেত্রী সানা খান। তিনি জানালেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এ কথা জানান সানা খান।
ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার নিন্দা জানান সাবেক ভারতীয় এ অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, যে নির্দয় ও নির্লজ্জ লোকজন ফিলিস্তিনের হাসপাতালে নিষ্পাপ শিশুদের ওপর আক্রমণ করেছে, তারা একে প্রতিরক্ষা বলে। চিন্তা করবেন না, তারা জাহান্নামে নিজেদের জন্য বিশেষ জায়গা তৈরি করেছে।
অন্য একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সানা লেখেন, আমি এই পরিস্থিতিতে খুব অসহায় বোধ করছি এবং আমরা সবাই যা করতে পারি তা হলো (ফিলিস্তিনিদের জন্য) প্রার্থনা। নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে, শিশুরা মারা যাচ্ছে। তারা (ইসরায়েল সরকার) ফিলিস্তিনিদের জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে। তারা প্রতিদিন বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে।
তিনি আরও লেখেন, যারা ক্ষমতায় আছে তাদের সোচ্চার হতে হবে এবং এই গণহত্যা থামাতে হবে। একজন মুমিন হিসেবে আমরা সবাই জানি ইনশা আল্লাহ ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমি ফিরে পাবেন। আজ, আগামীকাল এবং চিরকাল আমি ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পাশে আছি।
গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন নিয়ে পাকিস্তানি ও তুর্কি অভিনেতাসহ অনেক ভারতীয় অভিনেতা আওয়াজ তুলেছেন। এবার সেই দলে যোগ দিলেন সানা খানও।
১৫ বছরের সুদীর্ঘ অভিনয় জীবন সানা খানের। তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম ভাষায় একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সানা। ২০১২ সালে রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এ অংশগ্রহণ করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সালমান খানের ‘জয় হো’, ‘ওয়াজা তুম হো’, ‘স্পেশ্যাল অপস’ ছবিতেও কাজ করেছেন।
২০২০ সালের অক্টোবরে সবাইকে চমকে দিয়ে বলিউডকে বিদায় জানান এই অভিনেত্রী। বিয়ে করেন মুফতি আনাসকে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের হামলায় প্রায় এক হাজার ৪০০ ইসরাইলি নিহত হন। পাশাপাশি শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে হামাস। যাদের মধ্যে ইসরাইলি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।
পাল্টা জবাবে গাজায় বোমাবর্ষণ, বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
চলমান এ সংঘাতে শুক্রবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১৩৭ জনে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক হাজার ৬৬১ জনই শিশু। আহত হয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: