[email protected] শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪, ১৭ই কার্তিক ১৪৩১

মায়ের চরিত্রে জয়া আহসানকে চাই

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৮ অক্টোবার ২০২৩, ২১:০৮

ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হওয়ার পর এই প্রথম কাক্সিক্ষত সাফল্যের দেখা গেলেন প্রার্থনা ফারদিন দিঘী। ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটিতে বঙ্গমাতার কিশোর বয়সী চরিত্রে অভিনয় করে আবারো নজর কাড়েন ভক্তদের। সূত্র: বার্তা২৪.কম

‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি করার অনুভূতি এই মুহূর্তে কেমন?

আমি বঙ্গমাতার চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রের ব্যাপ্তি খুব বেশি নয়। তারপরও যে পরিমাণ মানুষের ভালোবাসা, প্রশংসা পাচ্ছি সেটি এক কথায় অসাধারন। আপনার সঙ্গে কথা বলার আগেই আমার এক বন্ধু ছবিটি দেখে আমাকে ফোন করে বলল, তোর যতোটুকুই উপস্থিতি ছিল না কেন, ছবিটি ইমপ্যাক্ট রেখেছে। আমার কাছের মানুষরা ছবিটি দেখে বলেছেন, আমাকে এই ছবিতে যতোবারই দেখেছেন তারা গর্ব অনুভব করেছেন। এও বলেছেন যে, আমি আর অভিনয় না করলেও তাদের আফসোস নেই! একে তো জাতির পিতার বায়োপিক, তার ওপর শ্যাম বেনেগালের সিনেমা। সেখানে আমাকে দেখতে পেয়েই তারা খুব খুশি। আমি নিজেও আপ্লুত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের বাবা-মায়ের ওপর নির্মিত সিনেমাটি দেখেছেন আপনাদের সঙ্গে নিয়ে। এরপর আপনাকে কিছু বলেছেন?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিনেমাটি দেখার পর শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমি অতো লোকের ভিড়ে একটু পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। একটা পর্যায়ে উনাকে সালাম দিয়ে বলি, আমি আপনার মায়ের কিশোরী বেলার চরিত্রটি করেছি। কারণ, ছবিতে কোন মেকাপ ছাড়াই কাজ করেছি। আর সেদিন তো বেশ ভারী মেকাপ করা ছিলাম। তাছাড়া আগের চেয়ে আমি অনেকটাই ওজন ঝরিয়েছি। তাই বোঝার সুবিধার্থে আমার চরিত্রটির নাম ধরেই উনাকে বলি। কথাটা শুনে উনি একটু হাসি দিয়ে দিয়ে বললেন, আমি জানি তুমি ছোট রেনুর চরিত্রটি করেছ। আমি তো চিনেছি তোমাকে। এই কাস্টিংটি খুব ভালো হয়েছে। কারণ ছোট রেনু এমন মিষ্টিই ছিল। এর আগে শেখ রেহানার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনিও আমাকে একই কথা বলেছিলেন। নিজের মায়ের চরিত্রে তারা দুজন যে আমাকে এতো সুন্দর করে গ্রহণ করেছেন, এটাই এই ছবি থেকে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কারণ, আমরা নিজের বেলায় উদাসীন হলেও বাবা-মায়ের বেলায় কিন্তু ভীষণ খুতখুতে। সেই চ্যালেঞ্জ জয় করতে পেরেছি, এটাতেই আমি তুষ্ট।

আপনার মা দোয়েল এ দেশের প্রখ্যাত চিত্রতারকা ছিলেন। তার যদি কখনো বায়োপিক হয়, কোন অভিনেত্রীকে সবচেয়ে পারফেক্ট মনে করবেন?

চোখ বন্ধ করে বলা যায়, জয়া আহসান। আমি নিজেকে পারফেক্ট মনে করছি না কারণ আমি আমার মায়ের মতো অতো লম্বা নই। তিনি ভীষণ সুন্দরী ছিলেন, জয়া আহসান ম্যাডামও তেমন। দুজনকেই শাড়ি পরলে খুব সুন্দর লাগে। এসব কারণেই আমি জয়া আহসানকে বেছে নিতে চাই।

দোলোয়ার জাহার ঝন্টুর সঙ্গে আপনার বাক-বিতন্ডার কথা সবাই জানেন। তা স্বত্তেও তিনি ছবিটি দেখে প্রশংসা করেছেন। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

আসলে যতো যাই হোক, তিনি কেউ যদি ভালো কাজ করেন তার প্রশংসা তিনি মুনখুলে করতে পারেন। এটা আমি আগেও দেখেছি। ছবিটিতে তো আমি অল্প সময়ের জন্য কাজ করেছি, তারপরও যে তিনি মনে করে আমার প্রশংসা করেছেন এটিই অনেক বড় কথা। কারণ তিনি তো আমাদের দেশের অনেক বড়মাপের একজন নির্মাতা, সে কথা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

ছবিটিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। আপনার চোখে এই কাস্টিংটি কি পারফেক্ট?

সহশিল্পী বা দর্শক, যে কোন দৃষ্টিকোন থেকেই আমি বলতে পারি ‘হি ইজ পারফেক্ট ফর দ্য রোল’। বাংলাদেশে আর কোন অভিনেতাকে দেখি না যে শুভর চেয়ে ভালো করতে পারত। কেউ যদি মনে করে থাকে উনি পারফেক্ট না, তাহলে বলিউড বা অন্য ইন্ডাস্ট্রি থেকে কাউকে আনতে হবে। যেভাবে তিনটি বছর ধরে উনি চরিত্রটিকে ধারণ করেছেন সেটি উনি ছাড়া বাংলাদেশে আর কেউ পারত না।

 

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর