প্রকাশিত:
১০ আগষ্ট ২০২৩, ০৩:৪৪
রাজশাহীতে মামলা দায়েরের প্রতিবাদ এবং ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া বিএনপির নেতাদের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজশাহী মহানগর বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি গ্রেফতার নেতাকর্মীসহ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করা হয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ আলী ঈশা। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে আওয়ামী লীগ ও তাদের আজ্ঞাবহ পুলিশ পদে পদে বাধা প্রদান করছে। আওয়ামী লীগ তাদের অবস্থা বুঝতে পেরেছে। এ কারণে তারা ভয় পেয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামীতে যেন কোনো নির্বাচন না হয় সেই প্রত্যাশা আমরা করছি।
এ সময় তিনি ডিজিটাল আইনের সমালোচনা করে বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পরিশোধনের নামে নতুন মদ পুরাতন বোতলে ঢালা হয়েছে। এ মামলার বদৌলতে বিএনপিসহ অনেক সাংবাদিক কারাগারে রয়েছেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রকৃতপক্ষে বিরোধী মতাদর্শী ও বিরোধী দল দমন-পীড়নের হাতিয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে গত ২৬ জুলাই রাতে ধানমন্ডির একটি বাসাবাড়ি থেকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক রাজশাহী মহানগরীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজান এবং ২৭ জুলাই সকালে পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পাশে মিডওয়ে আবাসিক হোটেল থেকে রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সাবেক আহবায়ক আল আমিন সরকার টিটু এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান লিটনকে পুলিশ বিনা অপরাধে আটক করে।
প্রথম তাদের সন্দেহজনক ধারায় জেলহাজতে প্রেরণ করে। পরে আদালত গত ৬ আগস্ট তাদের জামিন দেন। জামিনে মুক্তির পর নেতারা জেলগেট বাহির হওয়ার মুহূর্তে পুনরায় নতুন ২টি ‘মিথ্যা’ মামলায় শফিকুল হক মিলনকে জেলে আটক রাখে। আমরা পুলিশের এ ধরনের কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গত ৬ আগস্ট রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার পুলিশ বাদী হয়ে অনেকজনকে আসামি করে একটি বানোয়াট মামলা করে। ওই মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকত ও মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে হয়রানি করা ও কষ্ট দেওয়া এই মামলার উদ্দেশ্য। আমরা বেগম খালেদা জিয়া, রাজশাহীর আবু সাঈদ চাঁদ, অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, গোলাম মোস্তফা মামুন, আল আমিন সরকার টিটু, মাসুদুর রহমান লিটনের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
এতে আরও বলা হয়, কিছু পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে সারা দেশে বিরোধী দল ও মতকে দাবিয়ে রাখার জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা সব নেতাকর্মীর নামে ‘মিথ্যা’ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সকল ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলা ও মহানগরসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: