[email protected] শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪, ১৭ই কার্তিক ১৪৩১

রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজ-সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
৩ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০২:০৬

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে সবজিতে বেড়েছে কেজি প্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা। এছাড়া বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। তবে অপরিবর্তিত আছে মাংস ও মাছে দাম। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজশাহীর বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-৮৫ টাকা। ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫-৬০ টাকা। এছাড়া আদা ২২০, দেশি রসুন ২২০ ও ভারতীয় রসুন ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহীর সাহেব বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমার কেনাই আছে ৫৫-৬০ টাকা। আনতে খরচ হয়, আবার নষ্ট বের হয়। তাই আমাকে ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার শুনছি, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ বেড়েছে। সামনে এমন চলতে থাকলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।

সাহেব বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। গত সপ্তাহে বিক্রি করেছি দেশি পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকা। এই সপ্তাহে বিক্রি করছি ৯০ টাকায়। ভারতীয়টা বিক্রি করেছি ৬০ টাকা। এই সপ্তাহে সেটি দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকায়। দাম বাড়ার কারণে ক্রেতাও কম হচ্ছে।

সাহেব বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মোশারফ হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এই পণ্যটার দাম প্রতিবছরই বাড়ে। বাড়লে আর কী করার। অল্প করে হলেও তো কিনতে হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে হল্যান্ডের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। পটল ৫০ টাকা কেজি, লাউ ৫০ থেকে টাকা, কচু ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০, করলা ৪০, শসা ৫০ টাকা, বরবটি ৫০, সজনে ৫০, ঝিঙে ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেশি।

মাস্টারপাড়া বাজারের ক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, করোনার আগে বেগুন কিনতাম ২০ টাকা কেজিতে, আজ কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকায়। কবে আবার আগের দামে কিনতে পারবো? সবকিছুর খরচ বেড়েছে, তাই উৎপাদন খরচও বেড়েছে তা জানি। কিন্তু ৮০ টাকা কেজি হওয়ার কথা না।

বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজিতে। সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া পাতিহাঁস পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। এছাড়া মুরগির লাল ডিম ৪৮ টাকা হালি, সাদা ডিম ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।

অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দামও। এই সপ্তাহে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি মাঝারি ১০০০ টাকা, প্রতিকেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা কেজি, বোয়াল বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, দেশি কই ৬০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ১৫০, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৬০ টাকা, কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহী জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা আফ্রিন হোসেন বলেন, বৃষ্টির জন্য বাজারে বেগুন, কচু ও অন্য সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া ভারতের ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা বাজার মনিটরিং করছি। আশা করছি, দাম কমে আসবে।

 

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর