[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ ১৪৩১

রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

প্রকাশিত:
৯ আগষ্ট ২০২৩, ২৩:৫৭

ফাইল ছবি

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দ্ইু জন রোগী মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে এবং বুধবার (৯ আগস্ট) ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার আলীনগর এলাকার সৈকত (১৮) ও একই উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকার আইয়ুব আলী (৪০)। দুজনেই হাসপাতালের হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্র্ডে ভর্তি ছিলেন। ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পর এই ওয়ার্ড চালু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন সৈকত। অসুস্থ হয়ে সম্প্রতি ঢাকা থেকে ফেরেন তিনি। অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে তিনি গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ায় গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকে হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ওই যুবক চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার ভোররাত সোয়া ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

অন্যদিকে, পেশায় কৃষক আইয়ুব আলী পনেরো দিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলেন। অসুস্থ হয়ে জ্বর নিয়ে ১০ দিন আগে এলাকায় ফেরেন। গত ৫ আগস্ট তিনি গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। পরীক্ষায় তারও ডেঙ্গু ধরা পরে। দুই দিন পর ৭ আগস্ট তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেদিন বিকেল থেকেই তিনিও হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ইনচার্জ ডা. তানজিলুল বারী। তিনি বলেন, সৈকত ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে ভুগছিলেন। ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আইসিইউতে পাঠানোর পর্যাপ্ত সময় ছিল না। অন্যদিকে, আইয়ুব আলী ডেঙ্গু ছাড়াও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকেও বাঁচানো যায়নি।

এদিকে, রামেক হাসপাতাল পরিচালকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টার ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬ জন।

এ পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী। এদের মধ্যে ১৫৯ জন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত। এ পর্যস্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯০ জন। মারা গেছেন ৩ জন।

বাংলা গেজেট/এমএএইচ/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর